ওবামার জলবায়ু নীতি 'উল্টে দিলেন' ট্রাম্প

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবিলায় পূর্বসূরি বারাক ওবামার জলবায়ু নীতির কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনতে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশ সই করেছেন তিনি।
ট্রাম্প বলেছেন তাঁর এই উদ্যোগ ‘কয়লার বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ ও ‘কর্মসংস্থান ধ্বংসকারী বিধিনিষেধের’ অবসান ঘটাবে। ট্রাম্পের নতুন এ পদক্ষেপে ক্ষতিকর কার্বন নিঃসরণ কমাতে ওবামা প্রশাসনের গৃহীত ‘ক্লিন পাওয়ার প্ল্যান’ বাতিল বা স্থগিত হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার বাজেটও কমিয়ে ফেলবে। পর্যালোচনা করা হতে পারে তেল, গ্যাস ও কয়লা উৎপাদনের নিয়মনীতিও।
এর আগে হোয়াইট হাউস বলেছিল, নতুন এই নির্বাহী আদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানির খরচ সাশ্রয়ী হবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে।
তবে পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়েছে, এমন নির্বাহী আদেশের কারণে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পরিসরে যুক্তরাষ্ট্র ভীষণভাবে অসুবিধার মুখে পড়বে।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমাতে পরিবেশ-অনুকূল বিদ্যুৎ উৎপাদনে ‘ক্লিন পাওয়ার প্ল্যান’ প্রণয়ন করে।
তবে নির্বাচনী প্রচারণার সময়ই ট্রাম্প ঘোষণা দেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি ওই প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেবেন। ‘অর্থনীতির জন্য’ ক্ষতিকর আখ্যায়িত করে ওবামা প্রশাসনের পরিকল্পনা বাতিল করবেন বলে জানান তিনি।
ট্রাম্পের প্রশাসন বলছে, ওবামার পরিকল্পনা বাতিল করে বর্তমান প্রেসিডেন্ট যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন, তা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি আমদানি করা জ্বালানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরশীলতা কমাবে।
এদিকে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলের সঙ্গে রাশিয়ার গোপন যোগাযোগের যে অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্তের অংশ হিসেবে ট্রাম্পের জামাতা ও তাঁর সহকারী জ্যারেড কুশনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিনেটের গোয়েন্দাবিষয়ক কমিটি। হোয়াইট হাউস বলেছে, কুশনার স্বেচ্ছায় ওই কমিটির সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন।