এলাকা সম্পর্কে জানুন বাড়ি কেনার আগে
বাড়ি কেনার জন্য আপনি প্রস্তুত হয়ে গেলে প্রথমেই এলাকা সম্বন্ধে ভালোভাবে জানা প্রয়োজন। আপনি শুধু বাড়িতে থাকবেন না, পুরো এলাকায় থাকবে আপনার বিচরণ। সন্তানেরা যাতে অবাধে বাইরে চলাফেরা করতে পারে ও নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারে, সেদিকে নজর দিতে হবে। উপযুক্ত এলাকা না হলে ভবিষ্যতে চলাফেরা করা সুবিধাজনক হবে না।
আশপাশের পুলিশ স্টেশনে ফোন করে ওই এলাকার অপরাধ প্রবণতার হার জেনে নেবেন। পুলিশরাই শতভাগ বলতে পারবে, এই এলাকায় আপরাধ বাড়ছে না কমছে। আপনার রিয়েলটর থাকলেও ফেডারেল ফেয়ার হাউজিং অ্যাক্টের আওতায় ডিসক্রিমিনেশনের কারণে রিয়েলটর আপনাকে সেটা বলতে পারবেন না। রিয়েলটরের কাছে এ তথ্য পাবেন না।
তারপর জেনে নেবেন স্কুল ডিস্ট্রিক্ট কেমন। Greatschool.org—এই ওয়েবসাইট খুলে জিপ কোড দিয়ে সার্চ দেবেন। ১০–এর মধ্যে ৭ বা তার ঊর্ধ্বে রেটিং হলে ভালো স্কুল ডিসট্রিক্ট। তারপরে যাতায়াত ব্যবস্থা কেমন এবং আপনার কর্মস্থল বা নিয়মিত যাতায়াত স্থল থেকে কতটা দূরে, তা জেনে নেবেন ভালোভাবে। গ্রোসারি, হাসপাতাল কত দুরে—এসব জেনে নিতে হবে বাড়ি কেনার আগেই। এলাকার কোলাহল দেখবেন, মানুষের আনাগোনা কেমন। যত বেশি মানুষ চলাচল থাকবে, হেট বা ঘৃণাপ্রসূত অপরাধ তত কম হওয়ার সম্ভাবনা। walkscore.com–এই ওয়েবসাইটে গিয়ে খোঁজ নিতে পারেন।
যেসব এলাকায় হোম ওনার অ্যাসোসিয়েশন আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তাদের নিয়মকানুন জেনে নেবেন, ঘরের বাইরে আপনি কী করতে পারবেন, আর কী করতে পারবেন না। তারপর বাড়ি দেখা শুরু করবেন। তখন বিষয়টা অনেক সহজ হবে।
এলাকায় যদি পার্কিং সীমিতকরণ থাকে, তবে বাড়ি হস্তান্তর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিটি অফিস অথবা ম্যানেজমেন্ট অফিস থেকে পার্কিংয়ের জন্য সাময়িক অনুমতিপত্র নিয়ে নেবেন। যাতে করে মুভিংয়ের ট্রাক রাখতে অসুবিধা না হয়।