এইচ-১বি ভিসা নিয়ে দ্রুত আমেরিকায় আসতে চান? আপনি অনেক বছর সাধনায় লেখাপড়া শেষ করে নিজ দেশে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সিপিএ, আইনজীবী, স্থপতি পেশায় কর্মরত আছে অথবা ব্যবসা করছেন? পাশাপাশি আমেরিকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও চাকরির আবেদন করেছেন। ভাগ্য ও যোগ্যতার সহায়তায় আমেরিকায় অবশেষে একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরির সুযোগও পেয়ে গেলেন। পরের মাসে আপনাকে আমেরিকায় নতুন চাকরিতে যোগ দিতে হবে। কী করবেন এখন! গোল বাঁধিয়েছে ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসের (ইউএসসিআইএস) একটি সিদ্ধান্ত।
প্রিমিয়াম প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে এক হাজার চার শ ডলার ফি দিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে এইচ-১বি ভিসার সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে। কিন্তু ইউএসসিআইএস এই মাসে এইচ-১বি ভিসা সম্পর্কে নতুন একটি বিভ্রান্তিকর ঘোষণা দিয়েছে। গত ১৯ মার্চ ইউএসসিআইএস এক ঘোষণায় জানায়, ১ এপ্রিল থেকে এফওয়াই ২০২০ ক্যাপ সাবজেক্ট এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারী যারা ফরম আই-১২৯ (পিটিশান ফর অ্যা ননইমিগ্রেন্ট ওয়ার্কার) পূরণ করেছেন, তারা ইচ্ছে করলে ফরম আই-৯০৭ ( রিকোয়েস্ট ফর প্রিমিয়াম সার্ভিস) জমা দিয়ে ভিসার স্ট্যাটাস পরিবর্তন করতে পারবেন। ইউএসসিআইএস আরও জানায়, ইউএসসিআইএস প্রিমিয়াম প্রসেসিংয়ের কার্যক্রম তারা সঙ্গে সঙ্গে শুরু করবে না।
ইউএসসিআইএসের ঘোষণায় বলা হয়েছে, যারা (পূর্বে এফওয়াই ২০২০ ক্যাপ সাবজেক্ট এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারী ফরম আই-১২৯-পিটিশান ফর অ্যা ননইমিগ্রেন্ট ওয়ার্কার) পূরণ করে আবেদন করেছেন, ১ এপ্রিল থেকে ফরম আই-৯০৭ (রিকোয়েস্ট ফর প্রিমিয়াম সার্ভিস) জমা দিয়ে ভিসার স্ট্যাটাস পরিবর্তন করতে চান, তাদের প্রিমিয়াম সার্ভিসের কার্যক্রম শুরু হবে ২০ মে মে’র মধ্যে। ভিসার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর আবেদনকারীকে বিষয়টি জানানো হবে।
অভিবাসন আইনজীবী উইলিয়াম স্টক ফোর্বসকে বলেন, শেষ মুহূর্তের এই ঘোষণা এইচ-১বি ভিসার আবেদনকারীদের বিভ্রান্তিকর অবস্থায় ফেলেছে। তিনি আরও বলেন, এইচ-১বি ভিসার আবেদনকারীদের তাদের ভিসা হয়েছে কিনা, তা জানার জন্য অহেতুক অতিরিক্ত কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাদের অপেক্ষা অনেক বেদনাদায়ক হবে।
অন্য আরেক আইনজীবী ডেগমার বাট জানান, হাজার হাজার আবেদন জমা হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদেরও অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হবে।