অভিবাসন স্ট্যাটাস বিচারে আবেদনের পদ্ধতি আলাদা
আমেরিকার নাগরিক কিংবা গ্রিনকার্ডধারীদের পরিবারের সদস্যদের পারিবারিক ভিসার মাধ্যমে আমেরিকায় আসার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কয়েকভাবে আবেদন করা যায়। পুরো বিষয়টি নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অভিবাসন স্ট্যাটাসের ওপর। বিশেষত সন্তানের জন্য পারিবারিক ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সন্তানের জন্মের সময়ে তাঁর অভিবাসন স্ট্যাটাস বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়। এ ক্ষেত্রে আবেদনের সময় ওই সন্তানের বয়সও বিবেচনায় নেওয়া হয়। এই দুই বিবেচনায় পারিবারিক ভিসার আবেদনের পদ্ধতিও বদলে যায়। এ ক্ষেত্রে অনুসৃত বিভিন্ন পদ্ধতি আজ তুলে ধরা হলো।
মার্কিন নাগরিক ও গ্রিনকার্ডধারীর ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তান (আইআর২ ও এফ২এ): প্রথমে বিবেচনায় নিতে হবে আপনার সন্তানের জন্ম আপনি মার্কিন নাগরিক হওয়ার আগে নাকি পরে হয়েছে। আপনি মার্কিন নাগরিক হওয়ার আগেই জন্ম নেওয়া এবং আমেরিকার বাইরে বসবাসরত ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তান আপনি মার্কিন নাগরিক হওয়ার পরে আপনার নিকটাত্মীয় (ইমিডিয়েট রিলেটিভ) হিসেবে গ্রিনকার্ড পেতে পারে। এসব ক্ষেত্রে ভিসা নম্বর সব সময় তাৎক্ষণিক থাকে। কিন্তু আপনি গ্রিনকার্ডধারী হলে, আপনার সন্তান গ্রিনকার্ড পাবে পারিবারিক সদস্য (এফ২এ) হিসেবে; ইমিডিয়েট রিলেটিভ (আইআর২) হিসেবে নয়। এ ক্ষেত্রে যেহেতু প্রতি বছর নির্দিষ্টসংখ্যক অভিবাসীকে সুযোগ দেওয়া হয়, তাই ভিসা নম্বর পেতে অপেক্ষা করতে হয়। বর্তমানে এই অপেক্ষার সময় হলো দু বছর।
মার্কিন নাগরিক হলে আপনাকে ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তানের জন্য স্বতন্ত্র আই-১৩০ ফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অর্থাৎ আপনার স্বামী বা স্ত্রীর জন্য একই সময়ে আবেদন করলেও সেই আবেদনে আপনার সন্তান সংযুক্ত থাকবে না। প্রত্যেক সন্তানের জন্য পৃথক আবেদন করতে হবে, যার প্রতিটির ফি হবে ৫৩৫ ডলার। কিন্তু আপনি গ্রিনকার্ডধারী হলে ৫৩৫ ডলার ফি দিয়ে আপনার সব সন্তান এবং স্বামী বা স্ত্রীর জন্য একই ফর্মে একসঙ্গে আবেদন করতে পারবেন।
মার্কিন নাগরিক হিসেবে যদিও ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তানকে আইআর২ ক্যাটাগরিতে আমেরিকায় আনা গেলেও মনে রাখতে হবে, আপনার সন্তান ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে এই ক্যাটাগরিতে গ্রিনকার্ড নিয়ে আমেরিকায় এলে চাইল্ড সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট ২০০০-এর আওতায় সেও আমেরিকায় প্রবেশের পরপরই নাগরিক হওয়ার যোগ্য হবে। এ ক্ষেত্রে তার নাগরিকত্ব সনদের জন্য এন-৬০০ ফর্মের মাধ্যমে ও পাসপোর্টের জন্য ডিএস-১১ ফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নাগরিকত্ব সনদের জন্য এন-৬০০ ফর্ম জমা দেওয়ার ফি ১ হাজার ১৭০ ডলার। তবে আপনার বার্ষিক আয় ইউএস ফেডারেল পোভার্টি গাইডলাইনের ১৫০ শতাংশের কম হলে অথবা আপনি যদি মেডিকেইড, ফুড স্টাম্প বা আবাসনের মতো কোন একটি মিনস-টেস্টেড বেনিফিট পান, তাহলে আপনি এ ফর্ম বিনা মূল্যে জমা দিতে পারবেন। আপনার সন্তানের বয়স ১৬-১৮ বছরের মধ্যে হলে পাসপোর্টের জন্য ডিএস-১১ ফর্ম জমা দেওয়ার সময় ১৩৫ ডলার ফি দিতে হবে। আর ১৬ বছরের কম বয়সী সন্তানের জন্য এই ফি হবে ১০৫ ডলার।
আপনি মার্কিন নাগরিক হলে এবং আপনার ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তান যেকোনো বৈধ-অবৈধ উপায়ে আমেরিকায় অবস্থান করলে, তার জন্য আপনাকে ৫৩৫ ডলার ফি দিয়ে ফর্ম আই-১৩০ জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে ১৪ বছরের কম বয়সী সন্তানের জন্য ৭৫০ ডলার ও ১৪ বছরের বেশি বয়সী সন্তানের জন্য ১ হাজার ১৪০ ডলার ফি দিয়ে ফর্ম আই-৪৮৫ জমা দিতে হবে। আর আপনি গ্রিনকার্ডধারী হলে এবং ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তান বৈধ উপায়ে (অবৈধ নয়) আমেরিকায় অবস্থান করলে ফর্ম আই-১৩০ অনুমোদন হওয়ার পর (একসঙ্গে নয়) ফর্ম আই-৪৮৫ জমা দিতে হবে।
মার্কিন নাগরিক হওয়ার পর যদি আপনার সন্তানের জন্ম আমেরিকার বাইরেও হয়, তাহলেও সে জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিক হবে এবং ইউএস পাসপোর্ট নিয়ে আমেরিকায় আসতে পারবে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে সন্তানের আবাসস্থলের নিকটস্থ কনস্যুলেট অফিসে (পাঠকেরা বাঙালি হওয়ায় ধরে নিচ্ছি ঢাকায়) ডিএস-২০২৯ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ডিএস-৩০৫৩ ও ডিএস-৫৫২৫ ফর্মের মাধ্যমে কনস্যুলার রিপোর্ট অব বার্থ অ্যাব্রোড (সিআরবিএ) আবেদন করতে হবে। এই আবেদন আপনাকে সন্তানের বয়স ১৮ হওয়ার আগেই করতে হবে। একই সঙ্গে আপনি ডিএস-১১ ফর্মের মাধ্যমে সন্তানের জন্য ইউএস পাসপোর্টের আবেদনও করতে পারেন। শুধুমাত্র সিআরবিএর জন্য আবেদন করলে ১০০ ডলার এবং সিআরবিএ ও পাসপোর্টের জন্য একসঙ্গে আবেদন করলে মোট ২০৫ ডলার ফিসহ নির্ধারিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে সন্তানসহ আপনাদের স্বামী/স্ত্রী অথবা দুজনকেই কনস্যুলেট অফিসে হাজির হতে হবে।
বাংলাদেশে সাধারণত সন্তানের জন্মের আগেই মা-বাবার বিয়ে হয়। এসব ক্ষেত্রে সন্তান জন্মের পরপরই নাগরিক হিসেবে গণ্য হওয়ার যোগ্য হতে হলে মা-বাবার যেকোনো একজন যদি মার্কিন নাগরিক হয়, তবে তাকে সন্তানের জন্মের আগে সব মিলিয়ে পাঁচ বছর আমেরিকায় বসবাস করতে হবে। তবে মা-বাবা দুজনই মার্কিন নাগরিক হলে, তাঁদেরকে সন্তানের জন্মের আগে সব মিলিয়ে পাঁচ বছর আমেরিকায় বসবাস না করলেও চলবে। কিন্তু কোনো কারণে সন্তানের জন্ম বিয়ের সনদ (ম্যারেজ সার্টিফিকেট) অনুযায়ী বিয়ের আগে হলে তাকে বিবাহবহির্ভূত সন্তান হিসেবে গণ্য করা হবে। ওই সন্তানের বাবা মার্কিন নাগরিক হলে, তাকে সন্তানের জন্মের আগে সব মিলিয়ে পাঁচ বছর আমেরিকায় বসবাস করতে হবে। আর মা মার্কিন নাগরিক হলে তাকে সন্তানের জন্মের আগে এক বছর একটানা আমেরিকায় বসবাস করতে হবে। এই ক্যাটাগরিতে মার্কিন নাগরিকের স্টেপ চাইল্ড অর্থাৎ মার্কিন নাগরিকের স্বামী বা স্ত্রীর আগের ঘরের সন্তানও গ্রিনকার্ড পেতে পারে।
মার্কিন নাগরিকের ও গ্রিনকার্ডধারীর মা-বাবা (আইআর৫): গ্রিনকার্ডধারী সন্তান তাঁর মা-বাবার জন্য আবেদন করতে না পারলেও এই ক্যাটাগরিতে ২১ বছরের বেশি বয়সী মার্কিন নাগরিকের মা-বাবা অথবা সৎ (স্টেপ) মা-বাবা গ্রিনকার্ড পেতে পারেন। মনে রাখতে হবে মা-বাবার জন্য যৌথভাবে একটি আবেদন করলে তা ভুল হবে। মা-বাবা আমেরিকার বাইরে থাকলে, তাদের প্রত্যেকের জন্য পৃথকভাবে ৫৩৫ ডলার ফিসহ আই-১৩০ ফর্ম জমা দিতে হবে। আর মা-বাবা আমেরিকায় বৈধ বা অবৈধ যেকোনো উপায়ে অবস্থান করলে তাদের প্রত্যেকের জন্য পৃথকভাবে ৫৩৫ ডলার ফিসহ আই-১৩০ ফর্ম এবং ১ হাজার ১৪০ ডলার ফিসহ আই-৪৮৫ ফর্ম জমা দিতে হবে। মা-বাবার জন্য আবেদন করার সময় আই-১৩০ ফর্মে আপনার যেকোনো বয়সী বিবাহিত/অবিবাহিত সব ভাই-বোনের নাম উল্লেখ করতে হবে। ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত ভাই-বোন থাকলে তারা আপনার মা-বাবার পরোক্ষ সুবিধাভোগী হিসেবে তাদের সঙ্গে একসঙ্গে আমেরিকায় আসতে পারবে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, মা-বাবার জন্য এই আবেদন জমা দেওয়ার সময় ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত ভাই-বোনের আবেদন অনুমোদন হওয়ার আগেই তাদের বয়স ২১ বছর পেরিয়ে গেলে তারা কি মা-বাবার সঙ্গে আসতে পারবে? এ ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্যই চাইল্ড স্ট্যাটাস প্রোটেকশন অ্যাক্ট (সিএসপিএ) নামে একটি আইন ২০০২ সালে কার্যকর হয়েছে। ধরা যাক, আপনার ভাই/বোনের জন্ম ৩০ নভেম্বর ১৯৮৯। আপনি মার্কিন নাগরিক হিসেবে তার বয়স ২১ হওয়ার আগে আপনার মা-বাবার জন্য আবেদন করেছেন এবং তার প্রায়োরিটি ডেট দেওয়া হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০। আপনার মা-বাবার জন্য ভিসা এভেইলেবল হয়েছে জুলাই ২০১২ সালের ভিসা বুলেটিনে। আপনাকে প্রথম নির্ণয় করতে হবে ১ জুলাই ২০১২ সালে আপনার ভাই/বোনের বয়স কত হলো। হিসেব করলে দেখা যাবে সেদিন তার বয়স হয়েছে ২২ বছর ৭ মাস ১ দিন। এবার আপনার ভাই-বোনের বয়স থেকে আবেদন পেন্ডিং থাকার সময়টা অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ থেকে ১ জুলাই ২০১২ পর্যন্ত সময়টা হিসেব করে বাদ দিতে হবে, যা কিনা ২ বছর ৪ মাস ১৬ দিন। কাজেই চাইল্ড স্ট্যাটাস প্রোটেকশন আইনে আপনার ভাই/বোনের বয়স হবে আনুমানিক ২০ বছর ৩ মাস, যা ২১ বছরের কম হওয়ায় সে সিএসপিএর আওতায় আপনার মা-বাবার সঙ্গেই আমেরিকায় আসতে পারবে।
মার্কিন নাগরিকের ও গ্রিনকার্ডধারীর ২১ বছরের বেশি বয়সী অবিবাহিত (এফ১ ও এফ২বি) ও বিবাহিত সন্তান ও ভাই-বোন (এফ৩ ও এফ৪): এই চারটি ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে হলে, যার জন্য আবেদন করা হলো সে আমেরিকার ভেতরে অবৈধভাবে অবস্থানকারী হতে পারবে না। অর্থাৎ তাকে আবেদন অনুমোদন হওয়া পর্যন্ত আমেরিকার বাইরে অথবা বৈধভাবে ভেতরে অবস্থান করতে হবে। মনে রাখতে হবে, গ্রিনকার্ডধারী তাঁর বিবাহিত সন্তানকে আমেরিকায় আনতে না পারলেও মার্কিন নাগরিক তাঁর বিবাহিত সন্তানকে এফ৩ ক্যাটাগরিতে আমেরিকায় আনতে পারেন। ঠিক একইভাবে গ্রিনকার্ডধারী তাঁর কোনো ভাই-বোনের জন্য আবেদন করতে না পারলেও ২১ বছরের বেশি বয়সী মার্কিন নাগরিক তার যেকোনো বয়সী ভাই-বোনকে এফ৪ ক্যাটাগরিতে আমেরিকায় আনতে পারেন। মার্কিন নাগরিকের বিবাহিত সন্তান ও ভাই-বোনের জন্য করা আবেদনে তাঁদের স্বামী-স্ত্রী ও সব বয়সী বিবাহিত-অবিবাহিত সন্তানের তথ্য উল্লেখ করতে হবে এবং ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তানের বেলায় ওপরে বর্ণিত সিএসপিএর নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এ ক্ষেত্রেও যেহেতু প্রতি বছর নির্দিষ্টসংখ্যক অভিবাসীকে সুযোগ দেওয়া হয়, তাই ভিসা নম্বর পেতে অপেক্ষা করতে হয়। বর্তমানে এই অপেক্ষার সময় হলো এফ১ - সাত বছর, এফ২বি- ছয় বছর, এফ৩- ১২ বছর ও এফ৪- ১৩ বছর।
ওপরে বর্ণিত সব আবেদনের ক্ষত্রে বিভিন্ন ফর্মের সঙ্গে প্রযোজ্যতা অনুযায়ী যার জন্য আবেদন করা হয়েছে, তার/তার স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের জন্ম সনদ/ বিয়ের সনদ/নিকাহনামা/ পূর্বে বিবাহ থাকলে বিচ্ছেদের ধরন অনুযায়ী ডিভোর্স বা ডেথ সার্টিফিকেট/ বিয়ের সময়ের ছবি/ পারিবারিক ছবি/ বাংলাদেশের পাসপোর্ট, আপনার ন্যাচারালাইজেশন সার্টিফিকেট/ নাগরিকত্ব সনদ/ জন্ম সনদ/ মেয়াদ রয়েছে এমন ইউএস পাসপোর্ট/ গ্রিনকার্ড, আপনার/সন্তানের/ মা-বাবার/ ভাই-বোনের বাংলাদেশের পাসপোর্ট, সবার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া কোনো কোনো ক্ষেত্রে যার জন্য আবেদন করা হয়েছে, তার জন্ম দেখেছে এমন পৃথক দুজন ব্যক্তির কাছ থেকে তার নিজের এবং আপনার ও যার জন্য আবেদন করা হয়েছে তার নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে জন্মের সাক্ষী হিসেবে অ্যাফিডেভিট, যার জন্য আবেদন করা হয়েছে তাকে কখনো টাকা পাঠালে সেই মানি রেমিট্যান্স রিসিপ্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ইস্যু করা তার মা-বাবার নাম উল্লেখ রয়েছে এমন চিঠি/ সনদ, তাকে ডিপেন্ডেন্ট দেখিয়ে ফাইল করা ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হবে। ওপরে বর্ণিত কোনো কাগজপত্রের ফটোকপি বা ইংরেজি অনুবাদ জমা দিলে তা নোটারি পাবলিক কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে।
ভিসা সম্পর্কিত বার্তা
পরিবারভিত্তিক এবং চাকরিভিত্তিক ভিসা প্রদানের বার্ষিক সংখ্যা কংগ্রেস কর্তৃক সীমাবদ্ধ। এই ক্যাটাগরির আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার নির্ধারিত হয় যদি তাঁদের অগ্রাধিকার তারিখ হালনাগাদ থাকে ও ভিসার সংখ্যা বর্তমান থাকে। যদিও সম্ভাবনা আছে, অগ্রাধিকার তারিখের পরিবর্তন হতে পারে এবং সাক্ষাৎকারের সময় ভিসার সংখ্যা আর বর্তমান নাও থাকতে পারে। আপনার ক্যাটাগরির ভিসার সংখ্যা যদি বর্তমান না থাকে, তবুও আপনার সাক্ষাৎকার যথা সময়ে হবে, তবে আপনার ভিসা ততদিন পর্যন্ত ইস্যু হবে না, যতদিন পর্যন্ত অগ্রধিকার তারিখ হালনাগাদ হয় এবং নতুন ভিসার সংখ্যা বর্তমান হয়। সকল অভিবাসী ভিসা আবেদনকারীগণ তাঁদের অগ্রাধিকার তারিখের অগ্রগতি সম্পর্কে জানার জন্য পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে (https://bit.ly/2EfaUuN) ভিসা বুলেটিন দেখতে পারেন।
মাস: অক্টোবর ২০১৮
F1 : ১ জুন ২০১১: (আমেরিকান নাগরিকদের অবিবাহিত ছেলে/মেয়েদের জন্য)
F2A : ২২ আগস্ট ২০১৬: (এলপিআর ব্যক্তিদের স্বামী বা স্ত্রী এবং
২১ বছরের কম বয়সী সন্তানদের জন্য)
FX : ১ আগস্ট ২০১৬: (F2A কেইসে যাদের অগ্রাধিকার তারিখ পুরোনো)
F2B : ২২ নভেম্বর ২০১১: (এলপিআর ব্যক্তিদের অবিবাহিত ছেলে/মেয়েদের জন্য)
F3 : ১৫ জুন ২০০৬: (মার্কিন নাগরিকদের বিবাহিত
ছেলে/মেয়েদের জন্য)
F4 : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৫: (মার্কিন নাগরিকদের ভাই/বোন ও তাদের স্ত্রী/স্বামী এবং ২১ বছরের কম বয়সী সন্তানদের জন্য)
E3 : চলতি (দক্ষ কর্মী ও তাদের স্ত্রী/স্বামী এবং ২১ বছরের কম বয়সী সন্তানদের জন্য)
EW : চলতি (অদক্ষ কর্মী ও তাদের স্ত্রী/স্বামী এবং ২১ বছরের কম বয়সী সন্তানদের জন্য)
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই নিবন্ধ কোনো ধরনের আইনি পরামর্শ নয়। এটি ইউএসসিআইএস ও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত
এ-সংক্রান্ত তথ্যের সন্নিবেশ মাত্র।
লেখক: ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল
নিউইয়র্ক প্রবাসী
সেল: (৯২৯)৩৯১-৬০৪৭;
ই-মেইল: [email protected]