অপরাধীকে ধরিয়ে দিলেন পিৎজা ডেলিভারিম্যান
অপরাধ অপরাধই। যে অপরাধ করে এবং যে দেখেও নিশ্চুপ থাকে দুজনেই সমান অপরাধী। অধিকাংশ মানুষ অপরাধ দেখেও নিজেকে বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যতিক্রম রয়েছে। এমনই এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন গুড সামারিটান। পিৎজা ডেলিভারির কাজ করা এই ব্যক্তি এক ডাকাতকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন। এই সাহসী ভূমিকার কারণে নিউইয়র্ক নগরীর সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি।
৪ এপ্রিল রাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে নিউইয়র্ক পুলিশের ২০ প্রিসিঙ্কট বলেছে, সার্জেন্ট উইলিয়াম রিভেরাসহ পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা ২৯ মার্চ কিছু সন্দেহভাজনকে খুঁজছিলেন, যারা এক নারীর ইয়ারপড লুট করেছিল। পশ্চিম ৭২ স্ট্রিটের কাছে থাকা এক পুরুষকে তাঁরা শনাক্ত করেন। লভেল এমব্রিস্টার নামের ওই সন্দেহভাজনকে পুলিশ ধাওয়া করলে তিনি দৌড়ে ব্রডওয়ের দিকে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি পঞ্চাশ ডলারের জাল নোট পুলিশের দিকে ছুড়তে থাকেন। এ সময় সাইকেলে করে পিৎজা নিয়ে যাচ্ছিলেন ডোমিনোর পিৎজা ডেলিভারিম্যান গুড সামারিটান। তিনি পুলিশের কাছে জানতে চান, ‘আমি তাকে থামাব?’ পরে গুড সামারিটান এমবিস্টারের সামনে তাঁর সাইকেলটি থামিয়ে পথ আটকে দেন। আর তখনই কর্মকর্তারা এমবিস্টারকে ধরে ফেলেন। পরে পুলিশ ওই সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নেয়। অতঃপর গোয়েন্দারা তদন্তের পর এমবিস্টারকে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত বলে চিহ্নিত করেন। তদন্তে আরও জানা যায়, ডাকাতি ছাড়াও এমবিস্টার দুটি দোকানে জাল টাকা ব্যবহার করে। শুধু কেনাকাটাতেই নয় বিভিন্ন দোকানে জাল নোটের বদলে আসল নোট হাতিয়ে নেওয়ার কাজও করেন তিনি।
এ ঘটনায় নিউইয়র্ক পুলিশ গুড সামারিটানের নাগরিক দায়িত্ব পালনের প্রশংসা করে বিবৃতি দেয়। পুলিশের মতে, গুড সামারিটানের মতো সবাই যদি পুলিশকে সহায়তা দিত, তবে নগরীতে অপরাধের হার অনেক কমে যেত।