ঘুমাতে চান বাইডেন, রাত আটটার পর অনুষ্ঠান না রাখার পরিকল্পনা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনছবি: এএফপি ফাইল ছবি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গভর্নরদের বলেছেন, তিনি রাত আটটার পর আর কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চান না। কারণ, তাঁর আরও বেশি ঘুমানো প্রয়োজন। গত বুধবার হোয়াইট হাউসে ডেমোক্র্যাট দলীয় গভর্নরদের সঙ্গে আয়োজিত জরুরি বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেছেন।

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দুই সূত্রের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস খবরটি জানিয়েছে। এমন খবর প্রকাশের পর আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে বাইডেনের বিকল্প খোঁজার দাবি আরও জোরালো হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বিতর্কে ধরাশায়ী হওয়ার পর থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য বাইডেনের ওপর চাপ ক্রমে বাড়ছে। এমনকি নিজের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতর থেকেও চাপের মুখে পড়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন

তবে বুধবারের বৈঠকে ডেমোক্রেটিক গভর্নরদের সমর্থন পেয়েছেন বাইডেন।

জনমত জরিপে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের বিতর্কের পর রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনের চেয়ে আরও কিছুটা এগিয়ে গেছেন। নেতা হিসেবে নিজের সক্ষমতা প্রকাশ করতে এর আগে বাইডেনকে কখনো এতটা চাপে পড়তে হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হোয়াইট হাউসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেনাসদস্য এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে বাইডেন বলেন, ‘আমি কোথাও যাচ্ছি না।’

এক সমর্থক বাইডেনকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বাইডেন তখন তাঁকে বলেন, ‘আপনি আমাকে বুঝতে পেরেছেন। আমি কোথাও যাচ্ছি না।’

বৃহস্পতিবার উইসকনসিনস সিভিক মিডিয়া রেডিওতে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে বাইডেন স্বীকার করেছেন, বিতর্কের সে রাতে তিনি ভালো করতে পারেননি। তাঁর ভুল হয়েছে।
আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি বলেন, ‘এটা তো মঞ্চে ৯০ মিনিটের বিষয়। সাড়ে তিন বছরে আমি কী কাজ করেছি সেগুলো দেখুন।’

হোয়াইট হাউস থেকেও বারবারই বলা হচ্ছে, বাইডেনের পদত্যাগের কোনো সম্ভাবনা নেই।

ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে ধরাশায়ী হওয়ার পর পরই মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এবং বোস্টন গ্লোবের সম্পাদকীয় বোর্ড বাইডেনকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়। সবশেষ সে কাতারে যোগ দিয়েছে ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টও।

অন্তত তিনজন ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতাও বাইডেনকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।