কেকের ওজন ১৫ হাজার পাউন্ড
কেক খেতে কে না ভালোবাসে। নানা স্বাদের কেক পাওয়া যায় বাজারে। অনেকে বাড়িতেও কেক বানিয়ে খান। এসব কেকের ওজন সাধারণত এক–দুই পাউন্ডের হয়ে থাকে। আরও বড় কেকও অবশ্য পাওয়া যায়। তাই বলে ১৫ হাজার ৮ পাউন্ড ওজনের কেকের কথা কে কবে শুনেছে! বিশালাকার এই কেক বানিয়ে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ক্র্যাফট হেইঞ্জ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লোভিলে হয়ে গেল বার্ষিক ‘ক্রিম চিজ ফেস্টিভ্যাল’। এই উৎসবে বিশালাকার চিজকেকটি হাজির করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয় ক্র্যাফট হেইঞ্জ।
২০১৩ সালে বড় একটি চিজকেক তৈরি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিল কোম্পানিটি। তবে ২০১৭ সালে রেকর্ডটি তাদের হাতছাড়া হয়ে যায়। রাশিয়ার একটি দল ৯ হাজার ৩৪৭ পাউন্ডের চিজকেক তৈরি করে নতুন রেকর্ড গড়ে। এতে অবশ্য ক্র্যাফট হেইঞ্জ দমে যায়নি। তারা নিজেদের হারানো গৌরব ফিরে পেতে উঠে–পড়ে লাগে।
ক্র্যাফট হেইঞ্জের কোয়ালিটি ম্যানেজার (পণ্যের মানসংক্রান্ত ব্যবস্থাপক) ডেরিক লাংডন বলেন, চলতি বছরের এই উৎসবে আগের রেকর্ড ভেঙে ফেলার বিষয়ে তিনি ও তাঁর দল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী তাঁরা কাজ করেছেন।
নিউইয়র্কভিত্তিক ডব্লিউডব্লিউএনওয়াই টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডেরিক বলেন, ‘আমরা আগের রেকর্ডটি (২০১৭ সালে) ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিই। আগের রেকর্ড করা কেকটির চেয়ে প্রায় দুই গুণ বড় একটি কেক বানালাম।’
উৎসবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের বিচারক উপস্থিত ছিলেন। ১৫ হাজার ৮ পাউন্ড ওজনের কেকটি যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিজকেক, তা নিশ্চিত করতে তাঁকে একটুও বেগ পেতে হয়নি। আগের রেকর্ড ভাঙার জন্য কেকটিকে যত বড় করে বানানো দরকার ছিল, এটি ছিল তার চেয়ে অনেক বড়।
ক্রিম চিজ ফেস্টিভ্যালের চেয়ারপারসন জেরেমিয়া পাপিনো বলেন, ‘এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য! ২০১৩ সালে কোম্পানিটি একবার রেকর্ড গড়েছিল। চলতি বছরে এসে তারা আবার রেকর্ড গড়ল। এটি ঐক্যবদ্ধ কাজের নিদর্শন। এর চেয়ে বেশি গৌরবের আর কিছু হতে পারে না।’
উৎসবে আসা দর্শনার্থীরা কেকটি দেখে অভিভূত হয়েছেন। কেকটির স্বাদও নিতে পেরেছেন তাঁরা। কেকটি কেটে দর্শনার্থীদের খেতে দেওয়া হয়। তবে সেটি খেয়ে শেষ করতে পারেননি তাঁরা। পরে কেকের বাকি অংশ স্থানীয় খাদ্য ব্যাংকে (ফুড ব্যাংক) দেওয়া হয়।