টুইটারের সিইও পদ থেকে ইলন মাস্কের পদত্যাগের পক্ষে বেশি ভোট
টুইটার ব্যবহারকারীদের মতামত নিতে গিয়ে একরকম বিপাকেই পড়ে গেলেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইলন মাস্ক। গতকাল সোমবার এই যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা ভোটের মাধ্যমে জানান দিয়েছেন, তাঁরা ইলন মাস্ককে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী (সিইও) পদে চান না।
এর আগে টুইটার ব্যবহারকারীদের ভোটের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। এরপর আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ২০ মিনিটে এক টুইট পোস্টে তিনি জানতে চান, সিইওর পদ থেকে তাঁর সরে দাঁড়ানো উচিত কি না। ওই সময় তিনি এই ঘোষণাও দিয়েছিলেন, মতামত জরিপে যে ফল আসবে, তা মেনে নেবেন।
ইলন মাস্কের টুইটার হ্যান্ডেলে অনুসারী রয়েছেন ১২ কোটি ২০ লাখ। গতকাল সন্ধ্যায় দেখা যায়, ১ কোটি ৭৫ লাখ ভোট পড়েছে ওই জরিপে। এতে ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ টুইটার ব্যবহারকারী রায় দিয়েছেন, সিইওর পদ থেকে ইলন মাস্কের সরে দাঁড়ানো উচিত। আর ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যবহারকারী চান তিনি এই পদেই থাকুন। তবে এই জরিপের ফলাফলের বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
ইলন মাস্ক শুধু টুইটারের প্রধান এমনটা নয়। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা, মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-এর প্রধানও তিনি। টু্ইটার অবশ্য তিনি সম্প্রতি কিনেছেন। গত ২৭ অক্টোবর এই প্রতিষ্ঠানটির মালিক হওয়ার পরই বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মালিকানা নেওয়ার পরই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিদায় করেছেন। তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন করায় সম্প্রতি বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। যদিও জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংস্থার সমালোচনার মুখে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। এসব বিতর্কিত পদক্ষেপের মধ্যই তার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারের মূল্য কমছে। এই পরিস্থিতিতে টুইটারের সিইও পদ থেকে সড়ে দাঁড়াবেন কি না, সেই বিষয়টি ব্যবহারকারীদের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগবিষয়ক বিশেষজ্ঞ গ্রে ব্ল্যাক এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, এই জরিপের ফল উপেক্ষা করা কঠিন। টুইটারে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন, সেই দায়িত্ব ছাড়তে টেসলার পরিচালনা পর্ষদ থেকে তাঁর ওপর চাপ রয়েছে।