যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় তুষারঝড় আঘাত হানতে পারে

ঝড়ের প্রভাবে প্লেইনস অঞ্চলে ভারী তুষারপাত থেকে শুরু করে আরও দক্ষিণের অঞ্চলের সড়কগুলো বরফে ঢেকে যাওয়ার মতো বিভিন্ন ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছেছবি: এএফপি ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের প্লেইনস থেকে ইস্ট কোস্ট অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ তুষারঝড়, তুষারসহ বৃষ্টি ও ভারী তুষারপাতের ঝুঁকিতে আছে। আগামীকাল সোমবার এসব অঞ্চলে শীতকালীন ঝড় আঘাত হানতে পারে। গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ এ পূর্বাভাস দিয়েছে।

শীতকালীন ঝড়কে সামনে রেখে কেন্টাকি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নররা অঙ্গরাজ্য দুটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।

গতকাল সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া সংস্থার আবহাওয়াবিদ রিচ বান বলেন, ‘ঝড়টি এখনো আকার নিচ্ছে।’

তবে এ ঝড়ের প্রভাবে প্লেইনস অঞ্চলে ভারী তুষারপাত থেকে শুরু করে আরও দক্ষিণের অঞ্চলের সড়কগুলো বরফে ঢেকে যাওয়ার মতো বিভিন্ন ধরনের বিপর্যয় দেখা দেওয়ার আশঙ্কা জানিয়েছেন রিচ বান।

আবহাওয়াবিদ রিচ বান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কোটির বেশি মানুষকে শীতকালীন এই আবহাওয়া–সতর্কতার আওতায় রাখা হয়েছে। তাদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

নেব্রাস্কা ও কানসাস থেকে ওহাইও, ইন্ডিয়ানা, দক্ষিণ-পশ্চিম পেনসিলভানিয়া ও উত্তর-পশ্চিম ভার্জিনিয়া হয়ে পূর্ব দিকে বিশাল এলাকাজুড়ে ১ ইঞ্চি (২ দশমিক ৫৪ সেমি) থেকে ১ ফুট (৩০ সেমি) পর্যন্ত তুষার জমতে পারে। বরফ জমে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনগুলোয় ব্যাঘাত ঘটতে পারে এবং এতে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ–বিভ্রাট হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ বান বলেছেন, আজ দক্ষিণাঞ্চলীয় মিজৌরি, কেন্টাকি ও টেনেসিতে তুষারসহ বৃষ্টি ও তুষারপাত হতে পারে। এতে রাস্তাগুলোয় চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে এবং বিদ্যুতের লাইনগুলোয় বিঘ্ন ঘটতে পারে। কিছু কিছু এলাকায় গাড়ি চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে কর্মকর্তারা বলেন, বরফের আস্তরণ পড়ায় গতকাল বিকেলে মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের কানসাস সিটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।

আবহাওয়াবিদ বান বলেছেন, সোমবার রাত নাগাদ ঝড়টি ইস্ট কোস্ট অতিক্রম করে আটলান্টিক মহাসাগরের দিকে যেতে পারে। আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার দুই-তৃতীয়াংশ এলাকাজুড়ে হিম বাতাস বয়ে যেতে পারে।