মধ্যপ্রাচ্যে নতুন জোট গড়তে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান নেতানিয়াহুর

মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ২৪ জুলাই, ওয়াশিংটনেছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধ শেষে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন একটি জোট গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এ জোট গড়তে পারে।

স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ জুলাই) ওয়াশিংটনে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেওয়া এক ভাষণে নেতানিয়াহু এ আহ্বান জানান।

মার্কিন আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এটিকে আব্রাহাম জোট বলতে পারি।’ সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দেশগুলোকে এ জোটে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মধ্যপ্রাচ্যে আলোচিত আব্রাহাম চুক্তি সম্পাদনে সহায়তার জন্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেন নেতানিয়াহু।

ট্রাম্পের ওপর সম্প্রতি চালানো হামলার সমালোচনা করে নেতানিয়াহু বলেন, গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই।

ক্ষমতায় থাকাকালে ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর এবং গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেওয়ায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান নেতানিয়াহু।

আরও পড়ুন

গাজায় চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে ইসরাায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি আমেরিকা আমাদের পেছনে রয়েছে, এজন্য ধন্যবাদ।’

তিনি আরও বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দেশকে উদারভাবে সামরিক সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে আসছে। এসব অনেক জীবন বাঁচিয়ে দিয়েছে।’

ইসরায়েলকে দ্রুত মার্কিন সামরিক সহায়তা গাজা যুদ্ধের আশু সমাপ্তি তরাণ্বিত করতে পারে এবং মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তর যুদ্ধ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন নেতানিয়াহু। তবে গাজায় যুদ্ধ বিরতির আলোচনার বিষয়ে কিছুই বলেননি তিনি।

আরও পড়ুন

মার্কিন আইনপ্রণেতাদের দ্রুত সামরিক সহায়তা ছাড়ের আহ্বান জানিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দ্রুত সরঞ্জাম (সামরিক) দিন, আমরা দ্রুত কাজ শেষ করবো।’

এ সময় দৃঢ়কণ্ঠে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমাদের শত্রুরা আপনাদেরও শত্রু। আমাদের লড়াই আপনাদেরও লড়াই। সেই সঙ্গে আমাদের বিজয় আপনাদেরও বিজয় হিসেবে চিহ্নিত হবে। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

নেতানিয়াহু যখন মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন ওয়াশিংটনে ক্যাপিটল ভবনের বাইরে হাজারো মানুষ বিক্ষোভে সামিল হন। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।