রুশদির হামলাকারীর বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহকে সমর্থন-সহায়তার অভিযোগ

হাদি মাতারফাইল ছবি: এএফপি

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ-আমেরিকান লেখক সালমান রুশদির ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ আনা হয়েছে। এবারের অভিযোগ—লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে সমর্থন-সহায়তার। গতকাল বুধবার প্রকাশিত এক অভিযোগপত্র থেকে এই তথ্য জানা যায়।

২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাতের শিকার হন রুশদি। এতে তাঁর একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।

হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হন হাদি মাতার নামের এক যুবক। তিনি লেবানিজ বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। এ ঘটনায় নিউইয়র্কের আদালতে হাদির বিরুদ্ধে রুশদির ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। হাদি এখন কারাগারে আছেন।

সম্প্রতি সরকারি কৌঁসুলিরা হাদিকে প্রস্তাব দেন, দোষ স্বীকার করলে তাঁকে অপেক্ষাকৃত কম মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হবে।

তবে হাদি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। এর কয়েক সপ্তাহের মাথায় তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে ফেডারেল অভিযোগ আনা হলো।

হাদির আইনজীবী নাথানিয়েল ব্যারন বিবিসিকে বলেন, নতুন অভিযোগে তাঁর মক্কেল নিজেকে নির্দোষ দাবি করবেন।

ব্যারন আরও বলেন, যতগুলো অভিযোগ আনা হয়েছে, তার সব কটিতেই তাঁর মক্কেল নির্দোষ। তাঁরা আদালতে শক্তভাবে লড়াই চালাবেন।

নতুন অভিযোগে বলা হয়, হিজবুল্লাহ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, তা জানার পরও হাদি সংগঠনটিকে উপাদান-উপকরণগত সহযোগিতার চেষ্টা করেছেন।
তবে সংগঠনটির সঙ্গে হাদির সম্পৃক্ততার প্রমাণ সম্পর্কে অভিযোগপত্রে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

পশ্চিমাবিশ্ব, ইসরায়েল, উপসাগরীয় আরব দেশগুলো ও আরব লীগ হিজবুল্লাহকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সির ২৬ বছর বয়সী বাসিন্দা হাদি কেন রুশদির ওপর হামলা চালালেন, তা এখনো জানা যায়নি।

তবে কারাগারে বসে নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাদি বলেছেন, তিনি ইউটিউবে রুশদির ভিডিওগুলো দেখেছেন। তিনি এই রকম ছদ্মবেশী লোকদের পছন্দ করেন না।

চলতি বছরের শুরুর দিকে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামলার ঘটনাটি স্মরণ করেন রুশদি। তিনি বলেন, ঘটনার দিন তাঁকে ১২ বার ছুরিকাঘাত করা হয়। অন্তত ২৭ সেকেন্ড ধরে তাঁকে আঘাত করেন হামলাকারী। তিনি হামলাকারীকে ঠেকাতে পারেননি। তিনি সরেও যেতে পারেননি।

হামলার ঘটনাকে উপজীব্য করে একটি বই লিখেছেন রুশদি। বইয়ের নাম ‘নাইফ: মেডিটেশনস আফটার অ্যান অ্যাটেম্পটেড মার্ডার’। বইটি গত এপ্রিলে প্রকাশিত হয়।