নিউইয়র্কে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে কানাডায় পাকিস্তানি তরুণ আটক

ওয়াশিংটনে বিচার বিভাগের ভবনের সামনে উড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকাছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

সন্ত্রাসী হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে কানাডায় এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। কানাডীয় ও মার্কিন তদন্তকারীরা গত বুধবার তাঁকে আটক করেন।

২০ বছর বয়সী ওই তরুণের নাম শাহজেব খান। তিনি শাহজেব জাদুন নামেও পরিচিত। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রসংলগ্ন কানাডার সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় ১২ মাইল দূরে কুইবেকের ওর্মসটাউন থেকে তিনি আটক হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের পক্ষ থেকে নিউইয়র্ক নগরে ইহুদিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিলেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ওই সন্দেহভাজন তরুণ পাকিস্তানি নাগরিক। তিনি টরন্টোর কাছের একটি এলাকায় থাকেন। আগামী ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলার এক বছর পূর্তিতে কিংবা ১১ অক্টোবর ইয়ম কিপুর উপলক্ষে ইহুদিদের ছুটির দিনে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) এ ঘটনা তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করছে রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি)।

১৩ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজনকে মন্ট্রিয়লের একটি আদালতে হাজির করার কথা।

গতকাল শুক্রবার এফবিআইয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই ব্যক্তির সঙ্গে মিলে শাহজেব হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে ওই দুই ব্যক্তি যে গুপ্তচর ছিলেন, তা তিনি বুঝতে পারেননি। শাহজেব হামলার জন্য ওই দুজনকে আধা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, গোলাবারুদ ও ছুরি সংগ্রহ করতে বলেছিলেন।

কৌঁসুলিরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত পার করে দেওয়ার জন্য মানব পাচারকারীকেও অর্থ দিয়েছিলেন শাহজেব।

দুই গুপ্তচরকে শাহজেব যে বার্তা পাঠিয়েছিলেন, তাতে লেখা ছিল, ‘ইহুদিদের হামলার লক্ষ্য করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যথার্থ জায়গা। কারণ, সেখানে অপেক্ষাকৃত বেশিসংখ্যক ইহুদির বসবাস।’

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আল কায়েদার চালানো হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনায় সফল হয়ে যাই, তবে তা হবে নয়–এগারোর পরে যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে হওয়া সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা।’

কানাডীয় রয়েল পুলিশের কমিশনার মাইক ডুহেমে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিদের ওপর হামলা চালানোর এ পরিকল্পনা জঘন্য। তাঁর দাবি, কানাডায় এ ধরনের মতাদর্শিক ও বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধের জায়গা নেই।