কয়েক শ আটকের পর ক্যাম্পাসগুলোয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের আহ্বান হোয়াইট হাউসের
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোয় কয়েক সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনপন্থীদের টানা বিক্ষোভ চলছে। আটক করা হয়েছে কয়েক শ বিক্ষোভকারীকে। এর পরিস্থিতিতে গতকাল রোববার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ক্যাম্পাসগুলোয় চলমান বিক্ষোভ অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে।
জানা গেছে, ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের চারটি পৃথক ক্যাম্পাস থেকে সপ্তাহান্তে প্রায় ২৭৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বিক্ষোভের বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কারবি বলেন, সব মানুষের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারের প্রতি আমরা (মার্কিন প্রশাসন) শ্রদ্ধাশীল। তবে বিক্ষোভ থেকে ইহুদিদের প্রতি বিদ্বেষমূলক যেসব ভাষা আমরা শুনতে পেয়েছি, তা নিন্দনীয়। ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্য ও সহিংসতার হুমকির নিন্দা জানাই।
মূলত নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ দানা বাঁধে। ধীরে ধীরে তা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভের কারণে অনেক ক্যাম্পাস অশান্ত হয়ে উঠেছে। অনেক জায়গায় পুলিশ বেশ কঠোর আচরণ করেছে। আটক করা হয়েছে কয়েক শ বিক্ষোভকারীকে। এর মধ্যে বোস্টনের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ১০০ জনকে, ওয়াশিংটনের সেন্ট লুইস ইউনিভার্সিটি থেকে ৮০ জনকে, আরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ৭২ জনকে এবং আরও ২৩ জনকে ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি থেকে আটক করা হয়েছে।
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে গত শনিবার আটক হন গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জিল স্টেইন। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের মারমুখী আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন তিনি। আটক হওয়ার আগে তিনি সিএনএনকে বলেন, এটা বাক্স্বাধীনতার বিষয়। খুবই জটিল একটি বিষয়। কিন্তু দাঙ্গা পুলিশ এনে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বেশ কয়েকটি ক্যাম্পাসে ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে বিক্ষোভের মুখে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির হামবোল্ডট ক্যাম্পাসসহ কয়েকটি ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চলছে অনলাইন ক্লাস।