ভারতীয় অভিবাসী পরিবারের কাশ প্যাটেলকে এফবিআইপ্রধান হিসেবে বেছে নিলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এফবিআই) পরিচালক হিসেবে কাশ প্যাটেলকে বেছে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শনিবার তিনি তাঁর নাম ঘোষণা করেছেন।
ভারত থেকে অভিবাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া পরিবারের সন্তান কাশ প্যাটেল। তাঁর বাবা ভারতীয় অভিবাসী। নির্বাচিত সরকারের বাইরেও কেন্দ্রীয় কিছু সংস্থা বিশেষ করে এফবিআই ও সিআইএ সরকারের বিভিন্ন ইস্যুতে নিজেদের মতো কাজ করে। এটি ‘ডিপ স্টেট’ নামে পরিচিত। এসব বিষয় নিয়েই সরকারের সমালোচনা করেছেন কাশ প্যাটেল। তিনি এ বিষয়ে বইও লিখেছেন। মার্কিন সরকার নিয়ে অনেক বিস্ফোরক তথ্য দিয়ে আলোচিত হন। আইনবিদ প্যাটেল ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনি উচ্চপর্যায়ের একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করেছিলেন।
রয়টার্সের খবরে জানা যায়, সেপ্টেম্বরে শন রায়ান শো নামে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্যাটেল বলেন, ‘এফবিআইর সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তারা শুধু গোয়েন্দাগিরিতে ব্যস্ত থাকে। আমি এই বিষয়ে পরিবর্তন করতে চাই। আমি এফবিআইর হুভার ভবনটি বন্ধ করে দেব এবং পরের দিন এটিকে জাদুঘর হিসেবে নতুন করে উদ্বোধন করব।’ তিনি আরও বলেছিলেন হুভার ভবনের ৭ হাজার কর্মীকে বের করে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে মোতায়েন করবেন। তাঁদের পুলিশের মতো অপরাধীদের ধরতে বলবেন।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প তাঁর সাবেক উপদেষ্টা এবং পেন্টাগন কর্মকর্তা কাশ প্যাটেলের নাম ঘোষণা করেন। তাঁকে নিয়োগ দেওয়ায় এফবিআইয়ের বর্তমান প্রধানকে পদত্যাগ করতে হবে।
এফবিআইয়ের বর্তমান পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্রিস্টোফার রে। ২০১৭ সালে ১০ বছরের জন্য সংস্থাটির পরিচালক হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে তাঁর অধীনে এফবিআই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত করে। এখন নতুন মনোনয়ন দেওয়ায় তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে অথবা তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হবে।
ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘কাশ একজন দক্ষ আইনজীবী, তদন্তকারী এবং ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ যোদ্ধা। তিনি দুর্নীতির তথ্য তুলে আনা, ন্যায়বিচার রক্ষা, আমেরিকার জনগণকে রক্ষা করতে কাজ করেছেন।’
ট্রাম্প বলেন, তাঁর প্রথম মেয়াদের সময় কাশ অসামান্য কাজ করেছেন। তিনি (কাশ) আমেরিকায় মহামারির মতো বাড়তে থাকা অপরাধ দমনে, অভিবাসী অপরাধী চক্রকে গুঁড়িয়ে দিতে এবং সীমান্তের ওপারে মানব ও মাদক পাচার বন্ধ করতে কাজ করবেন।