ইরানের হামলার সময়, স্থান নিয়ে বার্তা পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অবস্থান নিয়েছে যুদ্ধজাহাজ
সম্ভাব্য ইরানি হামলা থেকে ইসরায়েলকে সুরক্ষা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজগুলো অবস্থান নিয়েছে। ইসরায়েলের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত থাকা নিজেদের বাহিনীর সুরক্ষায় এমন পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের দূতাবাস প্রাঙ্গণে হামলা হয়। ওই হামলায় ইরান রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডারসহ সাত কর্মকর্তা নিহত হন। এ হামলার ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইরান। ১ এপ্রিলের এ হামলার ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করা হচ্ছে। যদিও ইসরায়েল দায় স্বীকার করেনি, তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
এমন অবস্থায় ইরানের সম্ভাব্য হামলা থেকে ইসরায়েলকে সুরক্ষা দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলে সম্ভাব্য ইরানি হামলার সময় ও স্থান সম্পর্কে জানেন, এমন এক ব্যক্তির কাছ থেকে সতর্কবার্তা পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ ওই অঞ্চলে অবস্থান নিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের সংঘাত এড়াতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইরানি নেতাদের আলোচনা সম্পর্কে অবগত আছেন, এমন এক ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলা চালানোর ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি ইরান।
এদিকে দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়া যেকোনো অস্ত্র প্রতিহত করার চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন মোকাবিলা করতে লোহিত সাগরে মার্কিন নৌবাহিনী মোতায়েন আছে। ইরাক ও সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও মার্কিন বাহিনী নিয়োজিত আছে। এই বাহিনী ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলকে লক্ষ্য করে ছোড়া ড্রোন ও রকেট প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখে।
গতকাল হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘ইসরায়েলের সুরক্ষায় আমরা নিবেদিত। আমরা ইসরায়েলকে সমর্থন দেব। ইসরায়েলের সুরক্ষা নিশ্চিতে আমরা সহযোগিতা করব। ইরান সফল হবে না।’
বাইডেনের ধারণা, ইসরায়েলে হামলা চালাতে ইরান বেশি দিন সময় নেবে না।