দুই অঙ্গরাজ্যে তীব্র লড়াই হবে

কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পফাইল ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে দোদুল্যমান দুই অঙ্গরাজ্য মিশিগান ও উইসকনসিন। এখানে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে জনসমর্থনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজের গত শনিবারের প্রকাশ করা জরিপে বিষয়টি উঠে এসেছে।

জরিপে দেখা গেছে, মিশিগানে কমলার সমর্থন ৪৮ শতাংশ আর ট্রাম্পের সমর্থন ৪৭ শতাংশ। অন্যদিকে উইসকনসিনে কমলার সমর্থন ৪৯ শতাংশ আর ট্রাম্পের ৪৭ শতাংশ। ২১ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টেলিফোনে ভোটারদের মতামত নেওয়া হয়। মিশিগানে ৬৮৮ ও উইসকনসিনে ৬৮৯ জন ভোটার তাঁদের মতামত দেন। এ জরিপে অবশ্য মার্জিন অব এরর বা ভুলের মাত্রা ৪ শতাংশ।

জরিপে আরও দেখা গেছে, নেব্রাস্কায় ট্রাম্পের চেয়ে ৯ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন কমলা। এখানকার ইলেকটোরাল কলেজ ভোট অবশ্য মাত্র একটি। কিন্তু এটিও নির্বাচনের ফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

এদিকে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের চেয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে বেশি বেশি কথা শুনছেন দেশটির নাগরিকেরা। সিএনএনের করা জরিপে বিষয়টি উঠে এসেছে। দ্য ব্রেকথ্রু নামে জরিপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারকালে মার্কিন ভোটাররা কী শুনছেন, পড়ছেন ও দেখছেন, তা খতিয়ে দেখা হয়।

গত সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ খবর হিসেবে কমলা ও ট্রাম্পের মধ্যে নির্বাচনী বিতর্ক, ফ্লোরিডায় ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তারের মতো বিষয়গুলো সংবাদের শিরোনাম হয়ে ওঠে। তবে সিএনএনের তথ্য বলছে, এ সপ্তাহে দুই প্রার্থীর সমর্থকেরা যেসব কথা শুনেছেন, তার মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য দেখা গেছে। রিপাবলিকান প্রার্থীরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন গত মাসে ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের ওপর গুলি করার ঘটনার ওপর। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, তাঁরা

ওহাইওতে হাইতি অভিবাসীরা বিড়াল ধরে খাচ্ছেন বলে যে ভিত্তিহীন অভিযোগ উঠেছে, সে কথা বেশি শুনেছেন।

২০ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর সিএনএনের পক্ষে করা এসএসআরএস ও ভেরাসাইটের জরিপে দেখা গেছে, এক–তৃতীয়াংশ ভোটার বলেছেন, তাঁরা ট্রাম্পের সম্পর্কে খবর শুনেছেন বেশি। এর আগে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে দুজনের বিষয়ে খবর শোনার হার সমান ছিল।

রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে গুপ্তহত্যাসহ ট্রাম্পকে হত্যা–সম্পর্কিত শব্দ বেশি শোনার কথা বলা হয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা এখনো বিতর্কে কমলার ফলাফল নিয়ে কথা বলে যাচ্ছেন। এর মধ্যে হাইতি অভিবাসীদের বিড়াল ধরে খাওয়ার মতো বিষয়গুলো।

ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সমর্থকদের মধ্যে খবর শোনা, পড়া ও দেখার মধ্যে পার্থক্য থাকলেও স্বতন্ত্র ভোটারদের মধ্যে তাঁরা দুই ধরনের কথাই শুনেছেন। এর বাইরে নির্বাচনী প্রচার, নির্বাচন শব্দগুলো তাঁরা বেশি শুনেছেন।