ট্রাম্পের মার–এ–লাগোয় হঠাৎ কেন জাস্টিন ট্রুডো
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার–এ–লাগো রিসোর্টে গিয়ে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছেন। ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কানাডার পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের কথা জানানোর দিন কয়েক পরই ট্রুডো ফ্লোরিডায় গেলেন।
তবে এ সফর পূর্বনির্ধারিত ছিল না। ট্রুডোর সরকারি কার্যসূচিতেও ফ্লোরিডা সফরের কথা আগে থেকে উল্লেখ করা ছিল না। প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রুডোকে ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচের একটি হোটেল থেকে বেরিয়ে ট্রাম্পের মার–এ–লাগোর দিকে যেতে দেখা গেছে।
দুই নেতার সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে ট্রুডোর দপ্তর ও ট্রাম্পের প্রতিনিধির সঙ্গে রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ট্রাম্প গত সোমবার হুমকি দেন, কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আসা আমদানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে তাঁর প্রশাসন। সীমান্ত দিয়ে মাদক আর অভিবাসী পাঠানো বন্ধ করা না হলে এই শুল্ক আরোপ করা হবে বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের হবু প্রেসিডেন্ট।
শ্লথ অর্থনীতি ও জীবনযাত্রার বাড়তি ব্যয়ের কারণে কয়েক বছর ধরে ধুঁকছে কানাডা। এসব কারণে ট্রুডোর জনপ্রিয়তাও পড়তির দিকে রয়েছে। ২০২৫ সালের অক্টোবরের মধ্যেই কানাডায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্লেষকদের মতে, পরবর্তী নির্বাচনে রক্ষণশীলদের কাছে ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি অব কানাডা ধরাশায়ী হতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা নিঃসন্দেহে ট্রুডোকে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। ওই ঘোষণার পরপরই ট্রুডো ঐক্যবদ্ধ থাকার লক্ষ্যে কানাডার ১০টি প্রদেশের প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। বিষয়বস্তু ছিল কানাডা আর যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক।
এদিকে সিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার জননিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক লিব্ল্যাঙ্ক ফ্লোরিডা সফরে ট্রুডোর সঙ্গী হয়েছেন।