যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের হিউস্টন থেকে ওহাইওর কলম্বাসে যাচ্ছিল একটি ফ্লাইট। কিন্তু উড়োজাহাজটি বাধ্য হয়ে আরকানসাস অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবতরণ করে। কারণ, এক নারী যাত্রী ওই উড়োজাহাজের দরজা খোলার চেষ্টা করেছিলেন।
সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটেছে। যে নারী ওই উড়োজাহাজের দরজা খোলার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁর নাম এলম আগবেগিনউ।
যুক্তরাষ্ট্রে এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর পানি অনেক দূর গড়িয়েছে। এ ঘটনার পর ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর সেটি আদালতে গড়িয়েছে।
আরকানসাসের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের আদালত এ মামলার নথি প্রকাশ করেছেন। এতে দেখা গেছে, এলমের বয়স ৩৪ বছর। তিনি যখন উড়োজাহাজের দরজা খোলার চেষ্টা করেছিলেন, তখন সেটি ৩৭ হাজার ফুট ওপর দিয়ে উড়ছিল।
কীভাবে এলম উড়োজাহাজের দরজা খোলার চেষ্টা করেছেন, তার পূর্ণ বর্ণনা পাওয়া গেছে আদালতের নথিতে। এতে বলা হয়, উড়ানকালে ওই নারী উঠে উড়োজাহাজের পেছনের দিকে যান। এ সময় এক ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট তাঁকে দেখে ফেলেন। উড়োজাহাজের ওই কর্মী এলমকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি শৌচাগার খুঁজছেন কি না। নয়তো তাঁকে আসনে গিয়ে বসতে হবে। কিন্তু এলম তা না শুনে দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এ সময় এক যাত্রী শুনতে পান, কেউ একজন দরজা খোলার চেষ্টা করছেন। তিনি উঠে গিয়ে ওই এলমকে থামাতে গেলে তাঁকে কামড়ে দেন।
আদালতের নথিসূত্রে জানা গেছে, এলম দরজা খুলতে ব্যর্থ হয়ে বেশ হতাশ হয়েছেন। এ হতাশা থেকে তিনি উড়োজাহাজের মেঝেতে মাথা ঠুকেছেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘যিশু তাঁকে বলেছেন ওহাইও যেতে এবং যাওয়ার সময় উড়োজাহাজের দরজা খুলতে।’
পরে উড়োজাহাজটি আরকানসাসের লিটল রকের হিলারি ক্লিনটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করে। এলম অবশ্য গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন ধরনের কথা বলেছেন। একবার তিনি বলেছেন, তিনি স্বামীকে না জানিয়ে ওহাইও যাচ্ছিলেন। আবার তিনি এ–ও বলেছেন, বেশিক্ষণ তিনি ফ্লাইটে উড়তে পারেন না।