ট্রাম্পের ‘চরমপন্থী’ এজেন্ডাকে আক্রমণ কমলার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর দলের চরমপন্থী এজেন্ডাকে আক্রমণ করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের হিউস্টনে শিক্ষকদের এক সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্পসহ রিপাবলিকানদের এজেন্ডার সমালোচনা করেন কমলা।
আগের দিন বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনায় নির্বাচনী সমাবেশে কমলাকে আক্রমণ করেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি কমলাকে ‘উগ্র বাম পাগল’ বলে অভিহিত করেছিলেন। বলেছিলেন, কমলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে দেশকে ধ্বংস করে দেবেন। কিন্তু তাঁরা তা হতে দেবেন না।
গতকাল হিউস্টনে আমেরিকান ফেডারেশন অব টিচার্সের সম্মেলনে কমলা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কঠিন সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার ওপর ট্রাম্পের রিপাবলিকানদের সর্বাত্মক আক্রমণ লক্ষ করছে তাঁর দেশ।
শিক্ষকদের উদ্দেশে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আপনারা যেখানে শিক্ষার্থীদের গণতন্ত্র ও প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার সম্পর্কে শেখান, সেখানে চরমপন্থীরা ভোট দেওয়ার পবিত্র স্বাধীনতাকে আক্রমণ করছে। আপনারা যখন নিরাপদ ও সুন্দর স্থান তৈরির চেষ্টা করেন, যেখানে আমাদের শিশুরা শিখতে পারে, সেখান চরমপন্থীরা বন্দুক–সহিংসতা থেকে বাঁচার জন্য আমাদের স্বাধীনতাকে আক্রমণ করছে।’
রিপাবলিকানদের সম্পর্কে কমলা বলেন, তারা আগ্নেয়াস্ত্র সুরক্ষা আইন পাস করতে নারাজ। তারা শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে বন্দুক রাখতে বলে।
কমলা নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে গড়ে ওঠা একজন গর্বিত নাগরিক হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি শিক্ষকতা পেশার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে কমলা তাঁর নির্বাচনী প্রচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন। আর তা হলো ট্রাম্পের আমেরিকায় ফিরে না যাওয়া।
পাবলিক স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনিয়োগের ব্যাপারে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন কমলা। একই সঙ্গে উল্লেখ করেন, ট্রাম্পের শিক্ষা বিভাগই ভেঙে দিতে চান। শিক্ষায় ব্যাপকভাবে ব্যয় কাটছাঁট করতে চান।
গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে তিনি তাঁর দল ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কমলার প্রতি সমর্থন জানান। বাইডেন সরে দাঁড়ানোয় আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলাই কার্যত ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী।