সিরিয়ার চাবি তুরস্কের হাতে : ট্রাম্প

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান (বাঁয়ে) ও যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে, ১৩ নভেম্বর ২০১৯ফাইল ছবি : রয়টার্স

সিরিয়াতে ভবিষ্যতে কী হতে যাচ্ছে, সেটার অনেক কিছু তুরস্কের ওপর নির্ভর করছে। দেশটির ভবিষ্যতের ‘চাবি’ তুরস্কের হাতে।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় সোমবার এসব কথা বলেছেন। তখন তিনি ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে তাঁর পাম বিচের বাড়ি ‘মার-এ-লাগো’-তে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন।

গত ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের হাতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন হয়। এক যুগের বেশি সময় ধরে চলা বাশারবিরোধী গৃহযুদ্ধে তুরস্ক একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সহায়তা দিয়ে আসছিল। বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়া হায়াত তাহরিত আল-শামের (এইচটিএস) সঙ্গেও দেশটির সুসম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প আঙ্কারার প্রশংসা করে বলেন, ‘তুরস্ক একটি প্রধান সামরিক শক্তি, যেটি যুদ্ধ করে ক্লান্ত হয়ে পড়েনি।’

‘আপনারা জানেন এই মুহূর্তে সিরিয়ায় অনেক কিছু আছে, অনেক কিছুই এখনো অনির্দিষ্ট...। আমি মনে করি সিরিয়ার চাবি তুরস্কের হাতেই রয়েছে।’

সিরিয়ায় উত্তর দিকের কিছু অংশ তুরস্কের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এক সময় ওই অঞ্চল কুর্দিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী ওয়াইপিজির হাতে ছিল। কিন্তু তুর্কি বাহিনীর আন্তসীমান্ত হামলা ও আঙ্কারার সহায়তাপুষ্ট সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এসএনএ) মাধ্যমে তাদের সেখান থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।

কিন্তু বাশারবিরোধী বিদ্রোহীদের মধ্যে ওয়াইপিজি অন্যতম। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাপুষ্ট কুর্দি বিদ্রোহীদের জোট সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) উল্লেখযোগ্য অংশীদার।

সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অংশ এসডিএফের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। সেখানে প্রায় ৯০০ মার্কিন সেনা রয়েছে। ওয়াশিংটনের দাবি, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য তাদের সেখানে রাখা হয়েছে।

বাশারের পতনের পর ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার শীর্ষ কর্মকর্তারা অনেকগুলো আলাপে অংশ নিয়েছে। বাশার-পরবর্তী রাজনৈতিক শূন্যতায় আইএস যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, সে জন্য কাজ করতে তারা সম্মত হয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সিরিয়ায় অবস্থানকারী মার্কিন সেনাদের বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। বরং তিনি তুর্কি সামরিক বাহিনীর শক্তি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘এরদোয়ানকে আমি মহান মনে করি... তিনি একটি অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তুলেছেন।’