যুক্তরাষ্ট্রে পৃথক গুলির ঘটনায় নিহত ৬
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ও মিশিগান অঙ্গরাজ্যে পৃথক গুলির ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। খবর এএফপির।
গতকাল রোববার টেক্সাসের হিউস্টন ও মিশিগানের ডেট্রয়েটে এ গুলির ঘটনা ঘটে। বন্দুকধারীর গুলিতে হিউস্টনে তিনজন ও ডেট্রয়েটে তিনজন নিহত হয়েছেন।
হিউস্টনের ঘটনায় বন্দুকধারীও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
হিউস্টনের কর্তৃপক্ষ বলছে, সেখানে বন্দুকধারী প্রথমে একাধিক বাড়িতে আগুন দেন। বাড়ির বাসিন্দারা বেরিয়ে এলে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করেন বন্দুকধারী।
গুলির ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হিউস্টনের পুলিশপ্রধান টরি ফিনার। তিনি বলেন, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেন। বাড়িগুলো থেকে বাসিন্দাদের বেরিয়ে আসার অপেক্ষায় থাকেন তিনি। আগুন থেকে বাঁচতে বাসিন্দারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতেই তিনি গুলি চালান।
টরি ফিনার বলেন, বন্দুকধারীর হাত থেকে বাঁচতে অগ্নিনির্বাপণকর্মীদেরও আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে যেতে হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। তারা বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করে।
হিউস্টন পুলিশপ্রধান জানান, বন্দুকধারীকে উচ্ছেদ করা হবে বলে সম্প্রতি বলা হয়েছিল। এ জন্য তিনি ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
ডেট্রয়েটে সন্দেহভাজন বন্দুকধারী চার ব্যক্তির ওপর নির্বিচারে গুলি চালান। এতে তিনজন নিহত হন। আহত একজন।
ডেট্রয়েটের পুলিশ সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।
শহরটির পুলিশপ্রধান জেমস হোয়াইট সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভুক্তভোগী প্রথম তিনজনের মধ্যে দুজন নারী, একজন পুরুষ। সকালের দিকে শহরের পৃথক স্থানে তাঁদের একাধিক গুলি করা হয়।
জেমস হোয়াইট বলেন, চতুর্থ ভুক্তভোগী সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে গাড়ির জানালায় উঁকি মারতে দেখেন। তাঁকে থামতে বলেন। তখন বন্দুকধারী তাঁকে একটি গুলি করেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানায়, ডেট্রয়েটে গুলির ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। একজন বেঁচে আছেন।
সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর ছবি প্রকাশ করেছে পুলিশ। তাঁকে দেখলে পুলিশে খবর দিতে সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
জেমস হোয়াইট বলেন, নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে।ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন বাসে অপেক্ষমাণ ছিলেন। একজন তাঁর কুকুর নিয়ে হাঁটছিলেন। আরেকজন সড়কে ছিলেন।
অন্যদিকে দেশটির রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আমেরিকার পেশাদার জাতীয় ফুটবল লিগের (এনএফএল) এক খেলোয়াড়কে গুলি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতা নিত্যঘটনায় পরিণত হয়েছে। অধিকাংশ আমেরিকান আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন চান। তবে দেশটির আইনপ্রণেতারা এমন আইন পাসে নারাজ।