নথি ফাঁস যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকির: পেন্টাগন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নথি ফাঁস দেশটির জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ‘মারাত্মক’ ঝুঁকির বিষয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন সোমবার এ কথা বলেছে।
ফাঁস হওয়া নথিতে ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সম্পর্কিত স্পর্শকাতর তথ্য রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পেন্টাগন কর্মকর্তারা বলছেন, জ্যেষ্ঠ নেতাদের কাছে পাঠানো নথির সঙ্গে ফাঁস হওয়া ফাইলগুলোর মিল রয়েছে।
কোন উৎস থেকে নথিগুলো ফাঁস হয়েছে তা নিশ্চিত হতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এসব নথি প্রথমে টুইটার ও টেলিগ্রামের মতো আরও কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে অনেক বিস্তৃত তথ্যের পাশাপাশি ফাঁস হওয়া এসব নথিতে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের বিষয়ে স্পর্শকাতর ব্রিফিংয়ের উপাদান থাকার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।
ফাঁস হওয়া অন্য নথিগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যের পাশাপাশি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স সহকারী ক্রিস মিঘার সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, এসব নথি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ‘মারাত্মক’ ঝুঁকির বিষয়। এ নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
পেন্টাগনের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কীভাবে ঘটনাটি ঘটল তা এখনো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, পাশাপাশি এসব নথিতে থাকা তথ্যের বিস্তৃতির বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, এ ধরনের তথ্য কীভাবে এবং কাদের কাছে বিতরণ করা হয় তা নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পেন্টাগন ছড়িয়ে পড়া এসব নথি আসল মনে করে কি না এমন প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ক্রিস। তবে তিনি বলেন, কিছু নথি ‘বিকৃত করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে’।
পেন্টাগন, হোয়াইট হাউস ও যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বিচার বিভাগও এই ফাঁসের ঘটনাটি এখন তদন্ত করে দেখছে।