টুইটারের শীর্ষ পদ ছাড়বেন ইলন মাস্ক, যদি...
অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বৈদ্যুতিক গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক। আজ বুধবার নিজের টুইটারে এ কথা জানান মাস্ক। তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দিলে কে বা কাকে দায়িত্ব দেবেন, তাও তিনি টুইটে জানিয়েছেন।
সিইও পদে চাকরি নেওয়ার মতো যথেষ্ট ‘বোকা’ কাউকে পেলেই সরে দাঁড়াবইলন মাস্ক
এর আগে টুইটার ব্যবহারকারীদের মতামত নিতে গিয়ে বিপাকেই পড়েন ইলন মাস্ক। গত সোমবার ব্যবহারকারীরা ভোটের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ইলন মাস্ককে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী (সিইও) পদে চান না। এর আগে টুইটার ব্যবহারকারীদের ভোটের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। এরপর সোমবার এক টুইট পোস্টে তিনি জানতে চান, সিইওর পদ থেকে তাঁর সরে দাঁড়ানো উচিত কিনা। ওই সময় এই ঘোষণাও দিয়েছিলেন, মতামত জরিপে যে ফল আসবে, তা মেনে নেবেন তিনি।
ইলন মাস্কের টুইটার হ্যান্ডেলে অনুসারী রয়েছেন ১২ কোটি ২০ লাখ। এর মধ্য ১ কোটি ৭৫ লাখ ভোট পড়েছে ওই জরিপে। এতে ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ টুইটার ব্যবহারকারীর রায় হলো, সিইওর পদ থেকে ইলন মাস্কের সরে দাঁড়ানো উচিত। আর ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যবহারকারী চান তিনি এই পদেই থাকুন।
আজ টুইটারে দেওয়া ওই বার্তায় মাস্ক বলেছেন, ‘টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আমার মতো একজন বোকা ব্যক্তি খুঁজে পেলেই সিইও পদ থেকে সরে যাব। তারপর আমি শুধু সফটওয়্য়ার আর সার্ভার টিমের দেখাশোনা করব।’
টুইটারের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক গাড়িনির্মাতা ও প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান টেসলা ও স্পেসএক্সও পরিচালনা করেন তিনি।
গত অক্টোবরের শেষের দিকে ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে টুইটার কেনেন ইলন মাস্ক। এরপর তিনি সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব নেন এবং এর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে তাঁর আনা নানা পরিবর্তন ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়।
ইলন মাস্ক শুধু টুইটারের প্রধান এমনটা নন, বৈদ্যুতিক গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা, মহাকাশযান–নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সেরও প্রধান তিনি। টুইটার অবশ্য তিনি সম্প্রতি কিনেছেন। ২৭ অক্টোবর এই প্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়ার পরই বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। মালিকানা নেওয়ার পরই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিদায় করেছেন। তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন করায় সম্প্রতি বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। যদিও জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংস্থার সমালোচনার মুখে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। এসব বিতর্কিত পদক্ষেপের মধ্যই তাঁর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারের মূল্য কমছে।