শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারে কমলা ও ট্রাম্প কী বললেন
ভোটের আগের দিন গতকাল সোমবার পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপালিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। উভয়ই নিজের জয় নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এবারের মার্কিন নির্বাচনের প্রচারণায় মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালে রিপালিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্পের ওপর দুবার গুলি চলেছে। গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারের মাঝপথে হঠাৎ করেই সামনে চলে আসেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা। নিজ দলের ভেতর থেকে চাপের মুখে ৮১ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবারের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। বাইডেন সরে দাঁড়ালে তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট সামনে চলে আসেন।
অ্যানালিটিকস ফার্ম অ্যাডইমপ্যাক্টের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, মার্চ থেকে নির্বাচনী প্রচারে ২৬০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছে।
অধিকাংশ জনমত জরিপে কমলা (৬০) ও ট্রাম্পের (৭৮) মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার ভোটের দিনই তাই ভোটের ফলাফল পাওয়া না–ও যেতে পারে। যদিও ট্রাম্প এরই মধ্যে আভাস দিয়েছেন, তিনি নিজের পরাজয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত।
উভয় প্রার্থী গতকাল পেনসিলভানিয়ায় সমাবেশে ভোটের দিন সমর্থকদের ভোট দিতে যেতে বলেছেন। মঙ্গলবার ভোট হলেও কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আগাম ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে গেছে। তবে যাঁরা এখনো ভোট দিতে যাননি, তাঁদের ভোট দিতে যেতে বলেছেন কমলা ও ট্রাম্প।
যে সাত অঙ্গরাজ্যকে নির্বাচনী যুদ্ধক্ষেত্র বলা হয়, তার একটি পেনসিলভানিয়া। এই সাত রাজ্যের মধ্যে পেনসিলভানিয়ায় ইলেকটোরাল কলেজ ভোট সবচেয়ে বেশি।
ভোট শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে পিটসবার্গে বিশাল এক নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা চার বছর ধরে এর জন্য অপেক্ষা করছি।’
প্রতিদ্বন্দ্বী কমলাকে আক্রমণ করতে গিয়ে এদিন তিনি আরও বলেন, কমলা জিতলে সঙ্গে করে অর্থনৈতিক দুর্দশা নিয়ে আসবেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘ট্রাম্পকে একটি ভোট দেওয়ার অর্থ আপনাদের নিত্যপণ্যের দাম কমবে, আপনাদের বেতন বাড়বে, আপনাদের সড়ক অধিক নিরাপদ হবে, জাতি হিসেবে আপনারা আরও সমৃদ্ধ হবেন এবং আগের তুলনায় আপনার ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে।’
অ্যালেনটাউনে সমাবেশে কমলা নিজের জয় নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি ‘সব আমেরিকানের’ প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।