প্রথম বাণিজ্যিক ‘স্পেসওয়াক’ করলেন এক ধনকুবের
প্রথম অপেশাদার ক্রু হিসেবে ‘স্পেসওয়াক’ সম্পন্ন করেছেন এক ধনকুবের ও এক প্রকৌশলী।
বিশ্বের প্রথম বেসরকারি (প্রাইভেট) তথা বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত এই স্পেসওয়াক সম্পন্নকারী দুজন হলেন জ্যারেড আইজ্যাকম্যান ও সারাহ গিলিস।
জ্যারেড মার্কিন ধনকুবের। ৪১ বছর বয়সী এই উদ্যোক্তা ইলেকট্রনিক পেমেন্ট কোম্পানি শিফট৪-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও।
অন্যদিকে সারাহ একজন মার্কিন প্রকৌশলী। তিনি মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের প্রকৌশলী।
মহাশূন্যে থাকাকালে মহাকাশযান থেকে বাইরে বের হওয়াকে ‘স্পেসওয়াক’ বলে।
স্পেসএক্সের এই মিশনটির নাম ‘পোলারিস ডন’। এই মিশনে মোট চারজন মহাকাশচারী অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে দুজন ‘স্পেসওয়াক’ করেন। অভিযানে অংশ নেওয়া বাকি দুজন ক্যাপসুলের ভেতরে ছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুই মহাকাশচারী জ্যারেড ও সারাহ স্পেসএক্সের ক্যাপসুল (ক্রু ড্রাগন) থেকে বেরিয়ে প্রায় ১৫ মিনিটের ব্যবধানে ‘স্পেসওয়াক’ করেন।
জ্যারেড ও সারাহর পরনে ছিল বিশেষভাবে নকশা করা নতুন পোশাক (স্পেসস্যুট)। তাঁরা প্রত্যেকে প্রায় ১০ মিনিট মহাকাশযানের বাইরে কাটান।
সাদা রঙের ক্যাপসুলটি যখন পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭০০ কিলোমিটার ওপরে ছিল, তখন দুই ক্রু বাইরে বের হন। ছবি-ভিডিওতে নীল-সাদা পৃথিবী দেখা যায়। প্রথমে ক্যাপসুল থেকে বের হন জ্যারেড, পরে সারাহ।
প্রথম বাণিজ্যিক এই স্পেসওয়াক মিশনের অর্থায়ন করেছেন জ্যারেড। এই মিশনের আগে শুধু সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত মহাকাশ সংস্থাগুলোর মাধ্যমেই মহাকাশচারীরা স্পেসওয়াক করেন।