হোয়াইট হাউসে শীর্ষ মার্কিন স্নায়ুবিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বাইডেনের চিকিৎসক
যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষস্থানীয় স্নায়ুবিদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের চিকিৎসক। চলতি বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে দুজনের সাক্ষাৎ হয়েছিল। সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে বাইডেন সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে নিউইয়র্ক পোস্ট।
হোয়াইট হাউসে দর্শণার্থীদের তথ্য যাচাই করে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ওই স্নায়ুবিদের নাম কেভিন ক্যানার্ড। তিনি পারকিনসনস রোগ বিশেষজ্ঞ। এটি একধরনের স্নায়ুবিক রোগ। গত ১৭ জানুয়ারি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বাইডেনের চিকিৎসক কেভিন ও’কনর। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে আটবার হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন স্নায়ুবিদ ক্যানার্ড।
আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বাইডেন। তবে নির্বাচনের জন্য ৮১ বছর বয়সী বাইডেন শারীরিক বা মানসিকভাবে কতটা সক্ষম, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে বাইডেন নাস্তানাবুদ হওয়ার পর সে প্রশ্ন জোরদার হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাইডেনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেক নেতা ও অর্থদাতা।
গত শুক্রবার এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও বাইডেনের স্বাস্থ্যের বিষয়টি উঠেছিল। তিনি কেন সক্ষমতা যাচাইয়ের পরীক্ষায় অংশ নেননি, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জবাবে বাইডেন বলেন, আলাদা করে তাঁর এমন কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। আর সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে বাইডেনের চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা ও’কনরও কখনো প্রেসিডেন্টকে সক্ষমতা যাচাইয়ের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করেননি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ও’কনরের ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারিন জঁ পিয়েরে। তখন ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যে বাইডেনের বাসভবনে বেশ কিছু গোপন নথি পাওয়া গিয়েছিল। যেগুলো যাচাই করে বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট হুর এক প্রতিবেদনে বলেছিলেন, বাইডেনের ‘স্মৃতিশক্তি দুর্বল।’ তবে সেই রবার্ট হুরকেই এখন পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ তুলেছে বাইডেন শিবির। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেছেন, ‘আমার স্মৃতিশক্তি ভালোই।’