পশ্চিম তীরে শান্তি বিনষ্টকারী ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের শান্তি, নিরাপত্তা বা স্থিতিশীলতা নষ্টে জড়িত বসতি স্থাপনাকারী ইসরায়েলিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গতকাল মঙ্গলবার ৫ ডিসেম্বর এ ঘোষণা দিয়েছেন।
এর এক দিন আগেই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছিল, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা বিভিন্ন সময় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। এতে ভূমি হারাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। তবে এসব বন্ধে ইসরায়েলি প্রশাসন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ব্লিঙ্কেন লিখেছেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর নতুন একটি ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করছে।
পশ্চিম তীরে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্টের পেছনে যাঁরা জড়িত থাকবেন, তাঁদের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে। এমন কাজের মধ্যে পড়বে যেকোনো সহিংস কাজ অথবা এমন কাজ যা অযাচিতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের জরুরি সেবা ও পণ্য পেতে বাধা দেবে।’
ব্লিঙ্কেন আরও লেখেন, ‘পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংস আচরণ করা চরমপন্থী বসতি স্থাপনকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। এ জন্য ইসরায়েল সরকারের আরও কিছু করার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা এ বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছি।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, মঙ্গলবার থেকেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। বেশ কিছু বসতি স্থাপনকারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন।
এর আগে আল জাজিরার অপর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত নভেম্বরে ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ‘দ্য ইউএস ওন্ট ব্যাক ডাউন ফ্রম দ্য চ্যালেঞ্জ অব পুতিন অ্যান্ড হামাস’ শিরোনামে এ নিবন্ধটি রুশ নেতা ও গাজার ক্ষমতাসীন দল সম্পর্কে তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা করা ‘চরমপন্থীদের’ বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে প্রস্তুত।