গাজায় ত্রাণ সরবরাহে বাধা, ইসরায়েলি উগ্র গোষ্ঠীর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
ইসরায়েলের একটি ‘সহিংস উগ্রপন্থী’গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে বাধা দেওয়া এবং ত্রাণসামগ্রী নষ্ট করার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন গতকাল শুক্রবার তিজাভ নাইন নামের সংগঠনটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, সংগঠনটির সদস্যরা ত্রাণবাহী ট্রাকে লুটপাট চালিয়েছে ও আগুন দিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গাজা উপত্যকায় মানবিক সংকট যেন আরও খারাপ না হয়ে পড়ে, তা নিশ্চিত করতে এবং দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি কমাতে মানবিক সহায়তার ব্যবস্থা করা জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েল ও পশ্চিম তীর হয়ে গাজা অভিমুখী ত্রাণবহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা ইসরায়েল সরকারের দায়িত্ব। জরুরি মানবিক সহায়তাকে নাশকতা ও সহিংসতার লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি আমরা সহ্য করব না।’
সম্প্রতি ইসরায়েলের পুলিশ কমিশনার কোবি শাবতাইকে উদ্ধৃত করে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় ত্রাণবহরকে সুরক্ষা দেওয়া থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিরত রাখার চেষ্টা করছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির। এর এক দিন পরই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিল মার্কিন সরকার।
কয়েক মাস ধরে গাজা উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত করতে রাস্তাঘাট আটকে রেখে বিক্ষোভ করছেন ডানপন্থী ইসরায়েলিরা। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় বিক্ষোভকারীরা ত্রাণবহরের ওপর হামলা জোরদার করেছে। বিশেষ করে দখলকৃত পশ্চিম তীর হয়ে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ করতে দেওয়া হচ্ছে না। গত মাসে হেবরন হিলস এলাকায় দুটি ত্রাণবাহী ট্রাকে আগুন দিয়েছে তারা। এ হামলার জন্য তিজাভ নাইনকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে সংগঠনটির সম্পদগুলো জব্দ করা হবে। তাদের সঙ্গে মার্কিন নাগরিকদের লেনদেন অনেকাংশেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাইডেনের একটি নির্বাহী আদেশের আওতায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী লায়ন’স ডেনের বিরুদ্ধেও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন।
তবে এখন পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের নিপীড়নের ঘটনায় দায়ী ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান উপেক্ষা করে আসছে ওয়াশিংটন। এ ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মধ্যে বেন গভির এবং কট্টর জাতীয়তাবাদী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচও আছেন।