ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় নিরাপত্তাব্যবস্থায় ঘাটতি পেয়েছে সিক্রেট সার্ভিস
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জনসভায় হত্যাচেষ্টার ঘটনায় যোগাযোগ ও সার্বিক প্রয়াসে উদ্যমের ঘাটতি ছিল বলে জানিয়েছে দেশটির সিক্রেট সার্ভিস। সংস্থাটির এক তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
সিক্রেট সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রোনাল্ড রো শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘দায়িত্বে নিয়োজিত এজেন্টদের মধ্যে একধরনের গা-ছাড়া ভাব ছিল। এর ফলে নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। দায়ী এজেন্টদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাঁদের শাস্তি দেওয়া হবে।’ কিন্তু কী ধরনের শাস্তি দেওয়া হবে, তা নিয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
গত ১৩ জুলাই পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার শহরে একটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন ট্রাম্প। এ সময় পার্শ্ববর্তী একটি ভবনের ছাদ থেকে গুলি করে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। বন্দুকধারী মোট আটটি গুলি ছোড়েন। একটি গুলি ট্রাম্পের কানের নিচের অংশে লাগে। বন্দুকধারীর গুলিতে সমাবেশে অংশগ্রহণকারী এক ব্যক্তি নিহত হন। আহত হন আরও দুই ব্যক্তি। বন্দুকধারী এজেন্টদের গুলিতে ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সিক্রেট সার্ভিসের তৎকালীন পরিচালক কিম্বারলি চিটল পদত্যাগ করেন।
এদিকে গত রোববার ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বার হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ক্ষেত্রে সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা যথাসময়ে পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রোনাল্ড রো।
ওই দিনে ফ্লোরিডার গলফ মাঠে খেলছিলেন ট্রাম্প। এ সময় কয়েক শ গজ দূরে বন্দুক হাতে এক ব্যক্তি গাছের আড়ালে লুকিয়ে ছিলেন। সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা তাঁকে দেখে ফেলেন। তিনি ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর আগেই এজেন্টরা তাঁর দিকে গুলি ছোড়েন।
৫৮ বছর বয়সী রায়ান ওয়েসলি রুথ নামের ওই ব্যক্তিকে পরবর্তী সময়ে আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বন্দুক–সংশ্লিষ্ট অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। আগামী সোমবার তাঁকে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ওয়েস্ট পাম বিচের আদালতে হাজির করা হতে পারে।