প্রেমে মজেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার বাসিন্দা রবার্ট ওয়েনরিচ। আচরণ করছেন কিশোর প্রেমিকের মতো। সব কাজ করছেন প্রেমিকা ফে গ্যাবলকে সঙ্গে নিয়ে। নিজেদের বিয়ের আয়োজন কেমন হবে, তা নিয়ে নানা পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন।
প্রেমিকাকে নিয়ে কিশোরদের মতো আচরণ করলেও ওয়েনরিচ কিন্তু বয়সে মোটেও কিশোর নন। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে তিনি ৯৪ বছরে পা রেখেছেন। আর যে প্রেমিকাকে নিয়ে তাঁর এত আহ্লাদ, তিনিও সদ্য পরিচিত কেউ নন, তাঁর প্রথম স্ত্রী। প্রায় ৫০ বছর আগে এ দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়।
গ্যাবলের বড় ভাইয়ের প্রিয় বন্ধু ছিলেন ওয়েনরিচ। সেই সূত্রেই গ্যাবলদের বাড়িতে তাঁর যাতায়াত ছিল। সে সময় গ্যাবলের পরিবারকে ওয়েনরিচ বলেছিলেন, একদিন তিনি গ্যাবলকে বিয়ে করবেন।
ওয়েনরিচ কথা রাখেন। ১৯৫১ সালের নভেম্বরে ওয়েনরিচ-গ্যাবলের বিয়ে হয়। এ দম্পতির চারটি সন্তান রয়েছে। ১৯৭৫ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কী কারণে বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছিলেন, তা নিয়ে এখন আর কথা বলতে চান না গ্যাবল-ওয়েনরিচ কেউই।
বিচ্ছেদের পর দুজনই আবার বিয়ে করেন। নিজ নিজ স্বামী ও স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করেন। সে ঘরে তাঁদের সন্তান হয়। তবে দুজনেরই নতুন সঙ্গীরা মারা গেছেন।
স্বজনেরা অবশ্য জানিয়েছেন, বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও গ্যাবল ও ওয়েনরিচের পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, সুসম্পর্ক ছিল।
ওয়েনরিচ ও গ্যাবলের ছোট মেয়ে ক্যারল স্মিথ বলেন, ‘তাদের দেখে মনে হচ্ছে দুই কিশোর-কিশোরী প্রেমে পড়েছে। তাঁরা সবকিছু একসঙ্গে করছেন।’
সাবেক স্ত্রী ও হবু বধূ গ্যাবল সম্পর্কে ওয়েনরিচ বলেন, ‘সে আমার প্রথম প্রেম। আমি কখনো ভাবিনি, তাকে আবার ফিরে পাব। এবং এখন আমি পেয়েছি। আমি একটুও সময় নষ্ট করতে চাই না।’
গ্যাবলের বয়স এখন ৮৯ বছর। তাঁদের ১৪ নাতি–নাতনি এবং সেই নাতি–নাতনিদের ১৪ ছেলেমেয়ে রয়েছে। পেনসিলভানিয়ার ডেনবারে আজ রোববার তাঁদের বিয়ে।