গ্রন্থাগারে শেক্সপিয়ারের বই ফিরল ১০১ বছর পর
প্রয়াত দাদির রেখে যাওয়া পুরোনো জিনিসপত্র ঘাঁটছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সির বাসিন্দা সিনথিয়া ডেলে। ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎ দেখতে পান, পড়ে আছে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের লেখা বই লাইফ অব কিং হেনরি দ্য ফিফথ-এর একটি কপি।
বইটি হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখতে গিয়ে সিনথিয়া আবিষ্কার করেন, সেটি নিউজার্সির প্যাটারসন পাবলিক লাইব্রেরি (গ্রন্থাগার) থেকে নেওয়া। গ্রন্থাগার থেকে বইটি পড়তে এনেছিলেন তাঁর দাদি আরলেন ডেলে। অবাক করা বিষয় হলো, বইটি আনা হয়েছে সেই ১৯২৩ সালে। ঠিক ১০১ বছর আগে! তবে কি সিনথিয়ার দাদি আরলেন বইটি পড়ে শেষ করতে পারেননি, নাকি গ্রন্থাগারে বইটি ফিরিয়ে দিতে ভুলে গিয়েছিলেন। এমনও হতে পারে, ইচ্ছা করেই আর বইটি ফিরিয়ে দেননি।
দাদির নিয়ে আসা বইটি ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন সিনথিয়া। যোগাযোগ করেন প্যাটারসন পাবলিক লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। গ্রন্থাগারের পরিচালক কোরি ফ্লেমিং টিএপিন্টো প্যাটারসনকে বলেন, ‘গ্রন্থাগার থেকে নেওয়া কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার সময় পেরিয়ে যেতে পারে। কিন্তু কখনো সেটা ফিরিয়ে দেওয়ার সময় শেষ হয়ে যায় না।’
যদিও এবারের বইটি ফেরত আসার সময় ফ্লেমিংও খানিকটা অবাক হয়েছেন। ফ্লেমিং বলেছেন, তিনি নিজে এই প্রথম এমন কোনো ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন। ২০ বছরের বেশি সময় পর গ্রন্থাগারে কিছু ফেরত আসছে, এমন কিছু তিনি আগে দেখেননি।
গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ জানান, ১৯১০ সালে শেক্সপিয়ারের বই লাইফ অব কিং হেনরি দ্য ফিফথ প্রকাশ পায়। এটির অল্প কয়েকটি কপি এখন অবশিষ্ট আছে। পুরোনো জিনিস সংগ্রাহকদের কাছে এটি খুবই মূল্যবান। সাধারণ নিয়মে গ্রন্থাগার থেকে বই নেওয়ার পর সেটি ফেরত দিতে বিলম্ব হলে জরিমানা গুনতে হয়। সেই জরিমানা সর্বোচ্চ বইটির মূল্যের সমান হয়ে থাকে।
দাদির নেওয়া বইটি ফেরত দিতে গিয়ে সিনথিয়াকেও কি জরিমানা গুনতে হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে সংশয়ের কোনো অবকাশই নেই। গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ সিনথিয়াকে কোনো জরিমানাই করেনি; বরং বিরল বইটি ফেরত আসায় তারা খুবই খুশি। রীতিমতো তারা এ ঘটনা উদ্যাপন করছে।