২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড়ের আঘাত, মেরুজ্যোতির দেখা

আকাশে মেরুজ্যোতি। রিয়েক্স, সুইজারল্যান্ড, ১১ মে, ২০২৪ছবি: রয়টার্স

পৃথিবীতে গতকাল শুক্রবার দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ সৌরঝড় আঘাত হেনেছে। এতে তাসমানিয়া থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের আকাশে বর্ণিল আলো বা মেরুজ্যোতি (অরোরা) দেখা যায়। সপ্তাহান্ত পর্যন্ত চলতে পারে এ সৌরঝড়, যার প্রভাবে স্যাটেলাইট ও বিদ্যুৎ গ্রিডের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণে সম্ভাব্য বিঘ্ন সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে স্যাটেলাইট অপারেটর, বিমান পরিবহন সংস্থা ও বিদ্যুৎ গ্রিডগুলোকে পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) মহাকাশীয় আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, গতকাল গ্রিনিচ মানসময় (জিএমটি) ১৬০০টার (বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা) পর বেশ কয়েকটি ‘করোনাল ম্যাস ইজেকশন (সিএমই)’ বা ব্যাপকভাবে জ্যোতির্বলয় নির্গমনের প্রথম দফার ঘটনা ঘটে। এর ফলে সূর্য থেকে পৃথিবীতে প্লাজমা ও চৌম্বকক্ষেত্রের উদ্‌গিরণ হয়।

আরও পড়ুন

এ নির্গমন পরে পরিণত হয় ‘প্রচণ্ড’ ভূচৌম্বকীয় ঝড়ে। ২০০৩ সালের অক্টোবরে কথিত ‘হ্যালোইন স্টর্ম’-এর পরে পৃথিবীতে এত শক্তিশালী সৌরঝড় আঘাত হানার ঘটনা এটিই প্রথম। দুই দশক আগের ওই ঘটনায় গণহারে বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্নের শিকার হন সুইডেনবাসী এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় বৈদ্যুতিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগামী কয়েক দিন পৃথিবীতে আরও সিএমই নির্গমনের ঘটনা ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাতের আকাশে নর্দান লাইট। ডেইলেন্স, সুইজারল্যান্ড, ১১ মে, ২০২৪
ছবি: এপি

সৌরঝড়ের প্রভাবে উত্তর ইউরোপ ও অস্ট্রেলেশিয়ায় দেখা যাওয়া অরোরা বা নর্দান লাইটের মনোমুগ্ধকর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করছেন অনেকে।

আরও পড়ুন

পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণে সম্ভাব্য বিঘ্ন সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে স্যাটেলাইট অপারেটর, বিমান পরিবহন সংস্থা ও বিদ্যুৎ গ্রিডগুলোকে পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের প্রভাবে উত্তর মেরুতে চমৎকার সবুজাভ আলো দেখা যায় যা অরোরা হিসেবে পরিচিত
টমাস/টুইটার
২০০৩ সালের অক্টোবরে কথিত ‘হ্যালোইন স্টর্ম’-এর পরে পৃথিবীতে এত শক্তিশালী সৌরঝড় আঘাত হানার ঘটনা এটিই প্রথম। দুই দশক আগের ওই ঘটনায় গণহারে বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্নের শিকার হন সুইডেনবাসী এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় বৈদ্যুতিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সৌরশিখা সাধারণত আলোর গতিতে ছুটে চলে এবং প্রায় আট মিনিটে পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। তবে অনেকটাই স্থির সিএমইর ভ্রমণগতি। এর গতি গড়ে সেকেন্ডে ৮০০ কিলোমিটার (৫০০ মাইল)।

আরও পড়ুন