যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে পারেন স্টর্মি ড্যানিয়েলস
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘুষ দেওয়ার মামলায় দোষী সাব্যস্ত না হলে দেশ ছাড়ার কথা ভাবছেন পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস। তাঁর স্বামী ব্যারেট ব্লেড মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
২০০৬ সালে যৌনকর্মী স্টর্মির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে বিষয়টি নিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে এই পর্নো তারকাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন তিনি। ব্যবসায়িক নথিতে ওই অর্থ লেনদেনের বিষয়টি গোপন রাখায় জালিয়াতির অভিযোগে নিউইয়র্কের আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
জালিয়াতির মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। গত মার্চে আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এখন ওই মামলার বিচার চলছে।
গত মঙ্গলবার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্লেড বলেন, ‘রায় ড্যানিয়েলসের পক্ষে-বিপক্ষে যা–ই হোক, কোনো কিছুই তার জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। তবে বিচারে তিনি (ট্রাম্প) দোষী সাব্যস্ত না হলে আমরা যা করার তাই করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খুব সম্ভবত আমরা এ দেশ ছেড়ে চলে যাব।’
ড্যানিয়েলসের স্বামী ব্লেডও পেশায় একজন পর্নো তারকা। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মামলার রায়কে আমি কোনোভাবেই স্টর্মিকে বিজয়ী দেখছি না। বিচারে ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হলেও তাঁর সমর্থকদের ঘৃণা বক্তব্য থেকে স্টর্মি রেহাই পাবেন না।’
৫০ বছর বয়সী ব্যারেট আরও বলেন, ‘আমরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চাই। আমি জানি, স্টর্মি এসব কিছু (ট্রাম্প সম্পর্কিত বিষয়) পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চান। আশা করি, আপনি আমার সঙ্গে একমত হবেন, একজন সাধারণ মানুষ ক্ষেত্র বিশেষ যা করতে চায়, আমরা তাই করতে চাই। কিন্তু তা সম্ভব হবে কি না, তা আমি জানি না। (এ অনিশ্চয়তা) আমার হৃদয়কে ভেঙে দিচ্ছে।’
ট্রাম্পের জালিয়াতির মামলায় গত সপ্তাহে স্টর্মি ড্যানিয়েলস আদালতে জবানবন্দি দেন। ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর কীভাবে দেখা হয়েছিল, এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। জীবন নিয়ে শঙ্কার কারণে বুলেটরোধী পোশাক পরে আদালতে হাজির হয়েছিলেন স্টর্মি।
স্টর্মি ড্যানিয়েলসের জীবন ঝুঁকিতে বলে মন্তব্য করেছেন তাঁর কৌঁসুলি ক্লার্ক ব্রুস্টার।