দুটি জরায়ু এই নারীর, একসঙ্গে দুটিতেই গর্ভধারণ করেছেন

যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামার বাসিন্দা কেলসি হ্যাচার
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

কেলসি হ্যাচারের বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যে। পেশায় ম্যাসাজ থেরাপিস্ট তিনি। ঘটনাটি গত মে মাসের। ওই সময় আট সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন কেলসি। আলট্রাসাউন্ড করার পর জানতে পারেন, তাঁর গর্ভে যমজ সন্তান বেড়ে উঠছে। তবে আরেকটি বিষয় বেশ অবাক করে, দুটি ভ্রূণ বেড়ে উঠছে আলাদা দুটি জরায়ুতে।

ঘটনাটি অবাক করার মতোই। তবে কেলসি এতে খুব একটা বিচলিত হননি। কেননা আগে থেকেই কেলসি জানতেন, তাঁর শরীরে পৃথক দুটি জরায়ু রয়েছে। যখন তাঁর বয়স ১৭ বছর, তখন কেলসি প্রথমবারের মতো ব্যতিক্রমী এ বিষয়ে জানতে পারেন।

কেলসি অন্য নারীদের থেকে ব্যতিক্রম। তিনি জন্ম থেকে একসঙ্গে দুটি জরায়ুর অধিকারী। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এটাকে বলে ‘ইউটেরাস জরায়ু ডিডেলফিস’। এটা খুবই বিরল। বিশ্বে দশমিক ৩ শতাংশ নারী দুটি জরায়ু নিয়ে জন্ম নেন। তাঁদেরই একজন কেলসি।

কেলসির বয়স ৩২ বছর চলছে। তিন সন্তানের মা তিনি। এখন সুস্থ যমজ সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে নিজের এমন ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন কেলসি। তিনি বলেন, ‘একরকম বিস্মিত হয়েছিলাম। সেই প্রথম আলট্রাসাউন্ডের সময় অনেক হাসি পেয়েছিল।’

শ্বেতা প্যাটেল পেশায় গাইনি চিকিৎসক। কেলসি এখন তাঁর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করাচ্ছেন। শ্বেতা ইউনিভার্সিটি অব আলাবামার বার্মিংহামস ওমেন অ্যান্ড ইনফ্যান্টস সেন্টারে কাজ করেন। এই চিকিৎসক এবিসি চ্যানেলের ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’ অনুষ্ঠানে বলেন, খুব সম্ভবত কেলসির দুটি জরায়ুতে আলাদাভাবে ডিম্বাণু এসেছিল। পরে শুক্রাণুর সংস্পর্শে দুটি জরায়ুতে দুটি ভ্রূণ আলাদাভাবে বেড়ে উঠতে শুরু করে।

সচরাচর দুটি জরায়ু নিয়ে জন্ম নেওয়া নারীরা গর্ভধারণের সময় নানা ধরনের জটিলতার মুখোমুখি হন। তবে এর আগে তিনটি সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে কেলসির কোনো জটিলতা হয়নি। প্রতিবার পূর্ণ সময় অন্তঃসত্ত্বা থাকার পর সুস্থ সন্তান জন্ম দিয়েছেন তিনি। এবারও তেমনটাই প্রত্যাশা করছেন তিনি।