রাশিয়ার গভীরে নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার অনুমতি নিয়ে মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ খবরটি নিশ্চিত করতে সম্মত হয়নি ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারকে স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সাংবাদিকেরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে নিজেদের সক্ষমতা ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ’ করতে ইউক্রেনকে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। এ কথা যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে।
গত রোববার নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতে ইউক্রেনকে অনুমতি দিয়েছেন বাইডেন। কয়েকটি সূত্র ও কর্মকর্তার বরাতে এ দাবি করা হয়। খবরটি সত্য হয়ে থাকলে এটি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ওয়াশিংটনের নীতিতে বড় পরিবর্তন। মস্কো প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
কিন্তু এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত ওয়াশিংটন আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। মিলারের মতো দেশটির অন্যান্য কর্মকর্তারাও বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে সম্মত হননি।
মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া ‘আগ্রাসন’ চালিয়েছে, এটাই মূল বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রের নীতি পরিবর্তনের বিষয়টি এতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কোনো প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার মেয়াদ শেষের দু-এক মাসে উল্লেখযোগ্য কোনো নীতিগত পরিবর্তন কতটা স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক? উত্তরে মিলার বলেন, বাইডেন ‘চার বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, তিন বছর ১০ মাসের জন্য নয়’।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এ মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা যদি কোনো বিষয়ে আমেরিকার জনগণের স্বার্থ আছে বলে মনে করি, তাহলে আমরা আমাদের মেয়াদের প্রতিটি দিন সেই নীতিগত স্বার্থ অর্জনের জন্য কাজ করব। নবনির্বাচিত সরকার যদি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে চায়, তেমনটি করার অধিকার তাদের অবশ্য আছে।’
ম্যাথু মিলার বলেন, ‘নতুন সরকারকে প্রথম দুই মাস বর্তমান প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তগুলো হয়তো বজায় রাখতে হবে, এমনটি কেউ মনে করেন না। কোনো প্রেসিডেন্ট এভাবেই তাঁর মেয়াদে কাজ করেন। কোনো একটি সময়ে একজনই প্রেসিডেন্ট থাকেন। যখন নতুন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা গ্রহণ করবেন তখন তিনি নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দুটি সূত্র বলেছে, রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে প্রথম হামলা সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে চালানো হবে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ১৯০ মাইল (৩০৬ কিলোমিটার) দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।