গাজা নিয়ে কী কথা হলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও কাতারের আমিরের
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল শুক্রবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। আলাপকালে ইসরায়েলে হামাসের হাতে বন্দী হওয়া মানুষদের অবিলম্বে মুক্তির ওপর জোর দিয়েছেন বাইডেন।
গাজার শাসনক্ষমতায় থাকা ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক আছে।
সান ফ্রান্সিসকোয় এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা এপেকের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বাইডেন। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন বাইডেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাঁরা দুজনই মনে করেন, হামাসের হাতে জিম্মি থাকা মানুষদের অবিলম্বে মুক্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে সাড়া দিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন দুই ট্যাংকারভর্তি ডিজেল সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় জরুরি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পরিমাণ বাড়াতে চলমান প্রচেষ্টা নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করেছেন। বাইডেন ও কাতারের আমিরের প্রশাসনিক কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, বাইডেন ও তামিম দুই দেশের মধ্যে ‘কৌশলগত সম্পর্ক’ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার উপায় নিয়েও কথা বলেছেন তাঁরা।
কাতারের আমিরের প্রশাসনিক কার্যালয় থেকে আরও বলা হয়, বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল খলিফার সঙ্গেও শেখ তামিমের কথা হয়েছে। দুই নেতা গাজা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি তাঁরা অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন।
বাহরাইনের বাদশাহর সঙ্গে শেখ তামিমের এমন সময়ে কথা হয়েছে, যখন কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানামা সফর করেছেন। মানামার যুবরাজ ও অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, দুই পক্ষ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করা এবং বেসামরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের বাইডেন বলেছেন, হামাসের কাছ থেকে জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে তিনি ‘খানিকটা আশাবাদী’। ওই জিম্মিদের মধ্যে ১০ জন মার্কিন নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। এ ঘটনায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। যদিও শুরুতে এ সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ বলে দাবি করেছিল দেশটি। এ ছাড়া হামাস যোদ্ধারা প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে রেখেছেন বলে ইসরায়েল দাবি করে আসছে।
গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবশেষ হিসাব অনুসারে, ইসরায়েলের বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে ১২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৫ হাজার।