টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়েছে, ফিরতে চান না ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুখ্যাত টুইটার অ্যাকাউন্ট আবার খুলে দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ক জরিপ চালান। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার ট্রাম্পের টুইটার খুলতে ভোট দেন। তবে ভোটের ব্যবধান অল্প ছিল। খবর এএফপির।
গতকাল লাস ভেগাস থেকে এক ভিডিওতে ট্রাম্প মাস্কের জরিপকে স্বাগত জানান। ট্রাম্প বলেন, তিনি মাস্কের ভক্ত। তবে তিনি টুইটারে ফিরে আসার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেন।
গত বছর ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনার পর থেকে ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
টুইটারে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট পুনর্বহাল নিয়ে জরিপ পরিচালনার ২৪ ঘণ্টা পর গতকাল শুক্রবার ইলন মাস্ক টুইটে বলেন, ‘জনগণ রায় দিয়েছে। ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট পুনর্বহাল করা হবে।’ গতকাল মাস্ক লাতিন যে প্রবাদ টুইট করেন, তার অর্থ দাঁড়ায়, ‘জনগণের কণ্ঠস্বর ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর।’
ট্রাম্পের বিতর্কিত প্রোফাইল ফিরিয়ে আনা নিয়ে টুইটারের দৈনিক ২৩ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর মধ্যে ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষ ভোট দেন। ৫১.৮ শতাংশ মানুষ পক্ষে ভোট দেন। আর ৪৮.২ শতাংশ মানুষ বিপক্ষে ভোট দেন।
অ্যাকাউন্ট বাতিল করার সময় ট্রাম্পের টুইটার ব্যবহারকারী ছিল ৮ কোটি ৮০ লাখের বেশি। তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে টুইটারকে মুখপাত্র হিসেবে ব্যবহার করেন। বিভিন্ন নীতি ঘোষণা করেন, রাজনৈতিক শত্রুদের কটাক্ষ করেন ও সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে সমালোচনা আছে।
গতকাল ট্রাম্পের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক মিত্র তাঁর ফিরে আসাকে স্বাগত জানান। হাউস রিপাবলিকান পল গোসার টুইটে ট্রাম্পকে স্বাগত জানান।
ইলন মাস্ককে নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাঁকে পছন্দ করি, আপনারা জানেন, মাস্ক এক চরিত্র বটে, আমি এমন মানুষদের পছন্দ করি।’
টুইটারে ফিরে আসা নিয়ে জরিপ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন তাঁর কাছে ট্রুথ সোশ্যাল আছে। টুইটারে ফিরে আসবেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, তিনি এর কোনো কারণ দেখেন না।
গত শুক্রবার মাস্ক কেবল ট্রাম্প নন কমেডিয়ান ক্যাথি গ্রিফিনের টুইটার অ্যাকাউন্টও খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা জানান।
বেশি সময় ধরে কাজ করার জন্য মাস্কের দেওয়া শর্তে রাজি না হওয়ায় গত শুক্রবার কয়েক শ কর্মী টুইটার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর টুইটারের বেশ কয়েকটি কার্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। আগামীকাল সোমবার এগুলো খুলতে পারে।