বাইডেনকে ইউক্রেনের জন্য গ্রে ঈগল ড্রোন দেওয়ার অনুরোধ পুনর্বিবেচনার আহ্বান

একটি গ্রে ইগল ড্রোন প্রস্তুত করছেন কর্মীরা
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে শক্তিশালী গ্রে ঈগল ড্রোন দেওয়ার অনুরোধ পুনর্বিবেচনার জন্য জো বাইডেন প্রশাসনের প্রতি ১৬ জন মার্কিন সিনেটর আহ্বান জানিয়েছেন। এক চিঠিতে এ আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। খবর আল–জাজিরার।

ইউক্রেনে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার ক্ষেত্রে কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করে যাচ্ছে রাশিয়া। এমন অবস্থায় রুশ বাহিনীকে মোকাবিলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে গ্রে ইগল ড্রোন চাইছে ইউক্রেন। তবে এখন পর্যন্ত কিয়েভকে শক্তিশালী এ ড্রোন দেওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে আসছে বাইডেন প্রশাসন। তাদের আশঙ্কা, ড্রোন ভূপাতিত করা হতে পারে এবং এতে সংঘাতের পরিস্থিতি আরও বেড়ে যেতে পারে।

গ্রে ইগল ড্রোন ৮ হাজার ৮০০ মিটার (২৯ হাজার ফুট) উঁচুতে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে উড়তে পারে।

চিঠিতে মার্কিন সিনেটররা প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের কাছে জানতে চেয়েছেন, কেন ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য এ ড্রোন সরবরাহকে পেন্টাগন যথার্থ মনে করছে না। এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে অস্টিনকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন তাঁরা। দুই দলের ১৬ জন সিনেটর এ চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে ক্রিমিয়ায় রাশিয়া নিযুক্ত গভর্নর মিখাইল রাজভোঝায়েভ ঘোষণা করেছেন, সেভাস্তোপোল শহরে দুটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এ সেভাস্তোপোল শহরটিতে রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী সক্রিয় আছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে রাজভোঝায়েভ বলেন, ‘আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী এ মুহূর্তে কাজে ব্যস্ত। ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে দুটি ইউএভি (চালকবিহীন ড্রোন) ভূপাতিত করা হয়েছে। সব বাহিনী ও সেবা দলগুলোকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন, তাঁর দেশের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলার মধ্য দিয়ে রাশিয়া শীতকালীন তাপমাত্রাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে।

বিশ্বজুড়ে ফরাসি ভাষাভাষী মেয়রদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্রেঞ্চ মেয়রসের প্রতি দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। ইউক্রেনে জেনারেটর, জরুরি সেবা বিভাগের জন্য সরঞ্জাম এবং চিকিৎসক পাঠানোর জন্য সংগঠনটির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর অর্ধেকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে লাখো মানুষ বিদ্যুৎ ও পানিবিহীন অবস্থায় আছে।