ফৌজদারি মামলায় ন্যায়বিচার পাবেন না: দাবি ট্রাম্পের
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী এক বিচারককে বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট মনে করেন, হোয়াইট হাউস ত্যাগের সময় রাষ্ট্রের গোপন নথিপত্র নিয়ে যাওয়ার মামলায় তিনি ন্যায়বিচার পাবেন না।
ওই আইনজীবী আদালতে দাখিল করা আবেদনের প্রথম পাতায় লিখেছেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, সংবিধানের সঙ্গে সংগতি রেখে চলতি বছর তিনি সুষ্ঠু বিচার পাবেন না।’ আবেদনের ৭ নম্বর পাতায় তিনি ওই মামলার বিচারকাজ আগামী ১২ আগস্টের পর শুরুর সুপারিশ করেন।
ট্রাম্পের একজন কৌঁসুলির কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
এই মামলায় সরকার পক্ষের কৌঁসুলি যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ আগামী ৮ জুলাই মামলার বিচারকাজ শুরু করতে আদালতে আবেদন জানান।
ট্রাম্পের এই বিচারকাজ কখন শুরু হবে, এ ব্যাপারে আজ শুক্রবার মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট জজ আইলিন ক্যাননের আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত চারটি ফৌজদারি মামলা হয়েছে।
ক্যানন ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি মামলার বিচারপূর্ব সময়সীমা স্থগিত করার আদেশ দিয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন, ২০ মে নির্ধারিত বিচারকাজ শুরুর বিষয়টি বিবেচনা করতে তিনি শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।
২০২১ সালে হোয়াইট হাউস ত্যাগের সময় রাষ্ট্রের স্পর্শকাতর নথিপত্র ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে নিয়ে যান ট্রাম্প। ওই নথিপত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালাতে গেলে তিনি বাধা দেন। এসব ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ৪০টি অভিযোগ আনা হয়েছে, যার সব কটিতে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
নথিপত্রের মামলায় ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সহযোগী ওয়াল্ট নাউটা ও মার-এ-লাগোর ব্যবস্থাপক কার্লোস ডি অলিভিয়েরাকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
ট্রাম্প তাঁর বিরুদ্ধে করা চারটি ফৌজদারি মামলার বিচারকাজ বিলম্ব করানোর জন্য বারবারই আবেদন করেছেন। তিনি এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তাঁর নির্বাচনী প্রচার ক্ষতিগ্রস্ত করতে এসব মামলা করা হয়েছে।
মুখ বন্ধ রাখতে এক পর্নো তারকাকে ২০১৬ সালে ঘুষ দেওয়ার ঘটনাটি গোপন রাখার মামলা আগামী ২৫ মার্চ নিউইয়র্কের আদালতে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। অন্য তিনটি ফৌজদারি মামলার সময়সূচি নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। আগামী নভেম্বরে নির্বাচনের আগে এসব মামলার বিচারকাজ শুরু হবে কি না, তা-ও পরিষ্কার নয়।