ট্রাম্প প্রশাসনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির দায়িত্ব পাচ্ছেন ক্রিস্টি নোয়েম
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন সাউথ ডাকোটা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ক্রিস্টি নোয়েম। বিষয়টি সম্পর্কে জানে, এমন দুটি সূত্র আজ মঙ্গলবার রয়টার্সকে জানিয়েছে, ক্রিস্টি নোয়েমকে এই পদের জন্য বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প।
ক্রিস্টি নোয়েম ট্রাম্পের রানিংমেট (ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী) হতে পারেন বলে নির্বাচনের আগে আলোচনা ছিল। ২০২২ সালের নির্বাচনে বড় জয় নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে সাউথ ডাকোটার গভর্নর নির্বাচিত হন ক্রিস্টি। করোনা মহামারির সময় নিজের অঙ্গরাজ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার বিরোধিতা করে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনায় আসেন।
গত এপ্রিলে প্রকাশিত স্মৃতিচারণামূলক এক বইয়ে ক্রিস্টি লেখেন, নিজের বাড়িতে ‘অবাধ্য’ একটি কুকুরকে গুলি করে হত্যা করেন তিনি। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির দায়িত্বে নোয়েমকে বেছে নেওয়া সম্পর্কে জানতে ট্রাম্পের প্রচারশিবির ও নোয়েমের কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। কিন্ত দুই পক্ষের কারও সাড়া পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ দেশটির জননিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষা থেকে শুরু করে অভিবাসন ও দুর্যোগ মোকাবিলার মতো বিষয়গুলো দেখভাল করে। এ ছাড়া সিক্রেট সার্ভিসও এই বিভাগের অধীন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে সিক্রেট সার্ভিস।
আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন ট্রাম্প। তবে এর আগেই অনুগত ও মিত্রদের নিয়ে প্রশাসন সাজাতে শুরু করেছেন তিনি। সবার আগে তিনি হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাঁর প্রচারশিবিরের কো–চেয়ার সুজি ওয়াইলসের নাম ঘোষণা করেন।
অভিবাসন দেখভালের প্রধান ব্যক্তি হিসেবে টম হোম্যানের নাম ঘোষণা করেছেন তিনি। এ ছাড়া নিউইয়র্কের কংগ্রেস সদস্য এলিসে স্টেফানিককে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প।
সূত্রের বরাতে রয়টার্স এর আগে জানিয়েছে, নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিওকে নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হতে পারেন ফ্লোরিডার সিনেটর মাইকেল ওয়ালৎস। পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার (ইপিও) প্রধান হচ্ছেন ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের মিত্র লি জেলডিন।