বাইডেন-ট্রাম্পকে নিয়ে কী ভাবছে মস্কো, বেইজিং ও দিল্লি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে শুধু দেশটির নাগরিকদেরই নয় বরং পুরো বিশ্বেরই তুমুল আগ্রহ থাকে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি এবং হোয়াইট হাউস থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত নানাভাবে বিশ্বের নানা প্রান্তে প্রভাব ফেলে।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচার এখন তুঙ্গে। আসছে নভেম্বরেও প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গতবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিবিসির আটটি দেশের আটজন বৈদেশিক সংবাদদাতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ ও উত্তেজনার খবর পাঠিয়েছেন।
রাশিয়া অস্থিতিশীলতার আলামতের দিকে গভীর মনযোগ রাখবে
বিবিসি রাশিয়া সম্পাদক স্টিভ রোজেনবার্গ, মস্কো থেকে
কল্পনা করুন আপনি ভ্লাদিমির পুতিন। সেক্ষেত্রে হোয়াইট হাউসে আপনি কাকে দেখতে যান? ওই ব্যক্তিকে যিনি (জো বাইডেন) আপনাকে ‘খুনি’ বলেছেন এবং ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নাকি ওই প্রার্থীকে, যিনি (জনৈক ডোনাল্ড ট্রাম্প) কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সমালোচনা করেছেন এবং রাশিয়াকে উৎসাহ দিয়ে বলেছেন, ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যে নিজের প্রতিরক্ষা ব্যয়ের নীতিমালা পূরণ করছে না, রাশিয়া সেখানে ‘যা খুশি তাই করতে পারবে’।
পুতিন অবশ্য সব সময় চমক দিতে ভালোবাসেন। যেমন: মার্কিন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেছেন, তিনি আসলে বাইডেনকে হোয়াইট হাউসে দেখতে চান। কারণ, বাইডেনের পদক্ষেপ সহজেই আঁচ করা যায়।
পুতিনের এমন ঘোষণা দিয়ে সমর্থনকে সরল–সাদা চোখে দেখার সুযোগ নেই। ন্যাটো ও ইউক্রেন প্রশ্নে দ্বিধা আছে এমন একজন প্রেসিডেন্টকে রাশিয়া ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বা বিপত্তি হিসেবেই দেখছে।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে ক্রেমলিনকে রীতিমত হতাশ করেছেন।
২০১৬ সালে রাশিয়ার একজন কর্মকর্তা আমার কাছে স্বীকার করেছিলেন, তিনি ঘটা করেই ট্রাম্পের জয় উদ্যাপন করেছিলেন। তাঁর সে উদ্যাপন জলে ভেসে গেছে। রুশ কর্তৃপক্ষ প্রত্যাশা করেছিল, ট্রাম্পের আমলে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের উন্নতি হবে। বাস্তবে তেমন কোনো কিছুই ঘটেনি।
ট্রাম্প এবার জিতে গেলে দ্বিতীয় মেয়াদেও রাশিয়াকে একই অভিজ্ঞতা দেবেন না, সে নিশ্চয়তা কে দিতে পারে?
তবে নির্বাচনে যে–ই জিতুন, রাশিয়া নিশ্চতভাবেই যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন–পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার আলামত এবং যুক্তরাষ্ট্রে মেরুকরণের ওপর গভীরভাবে মনযোগ রাখবে, সেটা থেকে সুবিধা লাভের চেষ্টা করবে।
সবচেয়ে বড় পার্থক্য তাইওয়ান প্রশ্নে
লরা বিকার, চীন প্রতিনিধি, বেইজিং
উভয় প্রার্থীই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাঁরা বেইজিংয়ের ব্যাপারে কঠোর হবেন। চীনের উত্থান রুখতে তারা সস্তা চীনা পণ্যের ওপর কর বাড়ানোসহ একই ধারার অর্থনৈতিক নীতির অনুসারী। কিন্তু চীনের আঞ্চলিক প্রভাবের বিরুদ্ধে দুই প্রার্থীর মনোভাব সম্পূর্ণ ভিন্ন।
বাইডেন সেখানে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করেছেন। আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে মিলে তিনি বেইজিংয়ের বাড়তে থাকা প্রভাবের বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাতে চান। কিন্তু ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে রাজনৈতিক নেতাগিরির চেয়ে তাঁর জন্য সেরা সুযোগ লুফে নেওয়ায় অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এমনকি তিনি দক্ষিণ কোরিয়াকে হুমকির সুরে বলেছিলেন, যদি তারা ওয়াশিংটনকে আরও অর্থ না দেয়, তবে তিনি দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সরিয়ে নেবেন।
দুজনের সবচেয়ে বড় মতপার্থক্য তাইওয়ান প্রশ্নে।
প্রেসিডেন্ট সি যদি প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে তাইওয়ানকে চীনের মূলভূখণ্ডের সঙ্গে এক করার চেষ্টা করেন তবে বাইডেন দ্বীপ দেশটির প্রতিরক্ষায় এগিয়ে যাবেন। এ প্রতিশ্রুতি তিনি একাধিকবার দিয়ে আসছেন।
কিন্তু ট্রাম্প তাইওয়ানের বিরুদ্ধে মার্কিন বাণিজ্যে ক্ষতি করার অভিযোগ করেছেন। তাইওয়ানে সহায়তা পাঠানোর একটি বিলে আপত্তিও জানিয়েছিলেন তিনি। তাই প্রশ্ন উঠেছে, প্রয়োজন পড়লে তিনি তাইপেকে সহায়তা করবেন কি না।
চীনের জন্য অবশ্য উভয় প্রার্থীই অপছন্দের। বেইজিংয়ের চোখে চঞ্চলমতি ট্রাম্প ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে তাদের দুর্বল করে দিতে পারেন। তবে, তাঁর আমলে একইসঙ্গে চীনের সঙ্গে আবারও বাণিজ্য–লড়াই শুরু হয়ে যেতে পারে।
বাইডেন আরও চার বছরের জন্য ক্ষমতায় ফেরেন, বেইজিং সম্ভবত এটাও চায় না। তাদের বিশ্বাস, বাইডেন যেভাবে জোট গঠন করে চলেছেন, তাতে নতুন আরেকটি স্নায়ু যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।
ভোটে ইউক্রেন দর্শকের ভূমিকায়
গর্ডন কোরেরা, নিরাপত্তা প্রতিনিধি, কিয়েভ
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ইউক্রেনের জন্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটা হয়তো আর কোনো দেশের জন্য নয়।
সকলেই জানে, ইউক্রেনের লড়াইকে টিকিয়ে রাখার জন্য মূল সহায় মার্কিন অর্থ এবং অস্ত্র। যদিও খুব কম মানুষই মনে করে যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলে ইউরোপ দ্রুত সেই শূন্যস্থান পূরণে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
কিয়েভের বাসিন্দাদের কাছে অবশ্য আপনি যেমনটা প্রত্যাশা করছেন, মার্কিন নির্বাচন তার চেয়ে কম গুরুত্ব পাচ্ছে।
কিয়েভের এক বাসিন্দা আমাকে এ বিষয়ে বলেছেন, নভেম্বর অনেক দূরের ব্যাপার বলে মনে হচ্ছে। তাঁরা বরং রাশিয়ার বাড়তে থাকা আক্রমণ এবং তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা এখন অনেক বেশি বড় দুর্ভাবনা।
দুই প্রার্থী তাঁদের নির্বাচনী প্রচারে ইউক্রেন নিয়ে কী বলছেন, সে বিষয়ে তাঁরা ওয়াকিবহাল। এখানকার বিশ্লেষকেরা জানেন, ট্রাম্প এ যুদ্ধ শেষ করার এবং সেখানে সহায়তা পাঠানো বন্ধ করার কথা বলেছেন।
অনেকের আশঙ্কা, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে তিনি ইউক্রেনকে এমন চুক্তিতে যেতে বাধ্য করতে পারেন, যেটা তাদের পছন্দ হবে না। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, একজন প্রেসিডেন্ট কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটার ওপর সব কিছু নির্ভর করে। একজন প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণার সময় বা বিতর্কের সময় কী বলছেন, সেটা ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
সেইসঙ্গে সবাই এটাও বুঝে গেছেন, যদি জো বাইডেনই আবার জেতেন, তবুও ইউক্রেনের বিপত্তি শেষ হবে না। কারণ, সর্বশেষ সহায়তার বিষয়ে সম্মত হতেই কংগ্রেস লম্বা সময় নিয়েছিল।
তাই ইউক্রেনের জন্য এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ হলেও আপাতত তাঁরা দর্শক থাকছে।
যুক্তরাজ্যের জন্য আরও অনিশ্চয়তা
জেমস ল্যান্ডেল, কূটনৈতিক প্রতিনিধি, লন্ডন
যুক্তরাজ্যের নীতিনির্ধারকেরা আমাকে বলেছেন, তাঁরা খানিকটা আতঙ্ক নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিকে নজর রাখছেন। তাঁদের এই অস্বস্তির একটি কারণ যুক্তরাষ্ট্রের নয়া প্রেসিডেন্টের সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত, যেগুলো যুক্তরাজ্যেও প্রভাব ফেলবে।
যদি ট্রাম্প ফিরে আসেন, তবে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কি কমে যাবে? তাহলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কি সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যাবেন? তিনি কি ন্যাটো সামরিক জোট নিয়ে ইউরোপের সঙ্গে আবারও বিবাদে জড়াবে? তিনি কি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের আগুন আরও উসকে দেবেন?
এদিকে, বাইডেনই যদি ক্ষমতায় থেকে যান তবে তিনি কি তাঁর মার্কিন বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং সংরক্ষণবাদী নীতির আরও বিস্তার ঘটাবেন?
অন্য একটি বিষয় নিয়েও বড় ধরনের উদ্বেগে রয়েছে যুক্তরাজ্য। সেটা হলো আগামী ৫ নভেম্বরের ভোটের ফলাফলে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান যদি সামান্য হয় সেটা অনেক ভোটারের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তখন কি ২০২১ সালের ক্যাপিটল দাঙ্গার চেয়েও ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে?
মার্কিন গণতন্ত্রের সংকট বিশ্বজুড়ে আমেরিকার নেতৃত্বকে খর্ব করতে পারে এবং তাতে করে একনায়কেরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
সব মিলিয়ে বলা চলে, যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকা অনিশ্চিয়তার মধ্যে যুক্তরাজ্যের জন্য আরও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছে।
আরও ইহুদি বাইডেনকে ছেড়ে ট্রাম্পকে সমর্থন দেবেন
ইয়োল্যান্ড নেল, মধ্যপ্রাচ্য প্রতিনিধি
গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় হামাস-ইসরায়েল যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তাতে শুরুর দিন থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন করে যাচ্ছেন বাইডেন। দেশটির জন্য অস্ত্র সহায়তা পাঠানোও অব্যাহত আছে। যদিও তিনি ক্রমেই যুদ্ধ এবং বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিধনের বিষয়ে সমালোচনাও করেছেন।
বেশির ভাগ ফিলিস্তিনি মনে করেন, বাইডেন তাদের দুর্ভাগ্যকে অবজ্ঞা করছেন। অন্য দিকে, জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ইহুদি ইসরায়েলিদের একটি বড় অংশ মনে করে, ইসরায়েলের জন্য বাইডেনের তুলনায় ট্রাম্প ভালো হবেন। বাইডেন যেভাবে গাজা যুদ্ধ সামলাচ্ছেন, সেটা তাদের বেশির ভাগেই পছন্দ না।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে ইসরায়েলিদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করে জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছেন। ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে ট্রাম্প নতুন নতুন সমঝোতা করেছেন। এসব বিষয়ের কথা ইহুদি ইসরায়েলিরা স্মরণে রেখেছেন।
ফিলিস্তিনিরা অবশ্য বাইডেনের দ্বিতীয় মেয়াদেও আশার তেমন কিছু দেখছেন না। এদিকে, ট্রাম্প বলেছেন, যদি তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন, তবে ফিলিস্তিনিদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সব ত্রাণ তিনি বন্ধ করে দেবেন।
বাইডেন দীর্ঘমেয়াদে দ্বি–রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান নীতিকেই সমর্থন করছেন। অন্য দিকে ট্রাম্প একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ভারতের সুর হয়তো পাল্টাবে, আর তেমন কিছু নয়
সামিরা হুসাইন, দক্ষিণ এশিয়া প্রতিনিধি
চীনের বিরুদ্ধে ভূরাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বড় অংশীদার ভারত। একই সঙ্গে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বরের নির্বাচনে কে ক্ষমতায় আসতে চলেছে তাতে ভারতের তেমন কিছু যায় আসে না। দুই প্রার্থীকেই তাদের দেখা আছে।
ট্রাম্পের উসকানিমূলক কথা এখনও মেক্সিকোর কানে বাজে
উইল গ্রান্ট, মেক্সিকো প্রতিনিধি
সম্প্রতি মেক্সিকোর মানুষ তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন নারীকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিয়েছেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শিনবাউম বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ অবরাডোর ঘনিষ্ঠ মিত্র।
ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকার সময় অবরাডোর সঙ্গে তাঁর বেখাপ্পা এক অংশিদারিত্ব ছিল।
আর বাইডেনের আমলে যদিও মেক্সিকোর সঙ্গে তার সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তারপরও দুই প্রতিবশী মোটের ওপর ভালো সমঝোতা করেই চলেছে। এমন কি আভিবাসন ও সীমান্ত বাণিজ্য নিয়েও।
শিনবাউমকে দেখাতে হবে, তাঁর আমলে দুই প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর সম্পর্ক আগের মতোই যেন না থাকে। বরং তাঁকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। যেমন তিনি তার পূর্বসূরির তুলনায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাঁর আচরণ ও কথার সুর পাল্টানোর চেষ্টা করতে পারেন।
কানাডার জন্য কোটি কোটি ডলারের বাণিজ্যই মুখ্য
জেসিকা মুরফি, বিবিসি নিউজ টরন্টো
ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় ফিরলে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর সীমান্তের প্রতিবেশী কানাডার জন্য তা খানিকটা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। ট্রাম্প কানাডায় কখনোই তেমন জনপ্রিয় ছিলেন না। এ বছরের শুরুতে কানাডায় এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, দেশটির বেশির ভাগ মানুষের আশঙ্কা, ট্রাম্প আরও চার বছরের জন্য ক্ষমতায় এলে যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র বলে আর কিছু থাকবে না।
তবে ট্রাম্পের আমলে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা গেলও তাঁর আমলে কানাডা লাভবান হয়েছে। বিশেষ করে, একটি সফল নর্থ আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, কানাডার রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী শ্রেণি আরও বেশি বাণিজ্য উত্থানের আশায় প্রস্তুত হতে শুরু করেছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় যে–ই আসুন, তাঁর দেশ তার সঙ্গেই সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রস্তুত থাকবে।’