ধর্ষণ ও মানহানির মামলায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত। ভুক্তভোগী নারী এলিজাবেথ জেন ক্যারলকে ক্ষতিপূরণের এই অর্থ দেওয়ার আদেশ কার্যকরে সময় দিতে অনুরোধ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার একটি ফেডারেল আদালত ট্রাম্পের ওই আরজি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ম্যানহাটানের ডিস্ট্রিক্ট জজ লুইস কাপলানের এ সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের ওপর চাপ বাড়াবে। আদালতে তাঁর আরজি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় আগামী সোমবারের মধ্যে তাঁকে একটি গ্রহণযোগ্য বন্ডে সই করতে হবে অথবা নগদ অর্থ দিতে হবে। তবেই তিনি এ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের ফেডারেল আদালতের ৯ সদস্যের প্যানেল ট্রাম্পকে ধর্ষণ ও মানহানির মামলায় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালত বলেন, ভুক্তভোগী এলিজাবেথ জেন ক্যারলকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার দিতে হবে ট্রাম্পকে। আর সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ায় ক্যারল ১ কোটি ১০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ পাবেন। মানসিক ক্ষতিসাধনের জন্য ক্যারলকে বাকি ৭৩ লাখ ডলার দিতে হবে।
এলিজাবেথ জেন ক্যারল সাবেক সাংবাদিক-কলাম লেখক। বয়স ৮০ বছর ছুঁয়েছে। গত বছর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ক্যারল। গুরুতর এ অভিযোগ তুলেই ক্ষান্ত হননি তিনি, ম্যানহাটানের ফেডারেল আদালতে মামলা করেন।
বিচারক কাপলান গত ৮ ফেব্রুয়ারি মামলার রায় ঘোষণা করেন এবং ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাম্পকে আপিলের সময় বন্ড বা নগদ অর্থ জমা দিতে বলেন। ট্রাম্প এই রায় কার্যকর করতে সময় চেয়ে আবেদন করেন। গত মঙ্গলবার ট্রাম্পের করা আরজি বাতিলের আদেশ না হওয়া পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করতে চেয়েছিলেন।
বিচারক বলেন, বিচার হওয়ার পর রায় কার্যকরে বিলম্বের আদেশ চেয়ে ট্রাম্পের ২৫ দিন দেরি করা ঠিক হয়নি। বন্ড দেওয়া হলে তাঁর যে অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে, তা দেখাতেও ব্যর্থ হয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর বর্তমান পরিস্থিতি তাঁরই কর্মফল। বন্ডের অর্থ কমাতে ট্রাম্পের অনুরোধ নিয়ে বিচারক কোনো রুল দেননি।
ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারশিবিরের মুখপাত্র স্টিভেন চিয়াং বলেন, ‘ট্রাম্প হাস্যকর এ রায়ের বিরুদ্ধে যথাসময়ে আবেদন করেছেন। আমরা মামলা লড়তে ও সত্য বের করে আনতে মুখিয়ে আছি।’