কমলার তহবিলে ৪০ কোটি ডলার, আরও পিছিয়ে ট্রাম্প

কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পফাইল ছবি: এএফপি

প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচার দল ও ডেমোক্রেটিক পার্টি আগস্ট মাসে ৩৬ কোটি ১০ লাখ ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছেন। এতে নির্বাচনের দুই মাস আগে প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে বড় ব্যবধানে এগিয়ে গেছেন তিনি। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার কমলার প্রচার দল এ কথা জানিয়েছে।

আগস্টে একলাফে এ পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের ফলে সেপ্টেম্বরের শুরুতে কমলার প্রচার তহবিলে ৪০ কোটি ৪০ লাখ ডলার জমা হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার ট্রাম্পের প্রচার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, আগস্টে রিপাবলিকান পার্টি ১৩ কোটি ডলার সংগ্রহ করেছে। মাসের শেষে তাঁদের তহবিলে জমা হয়েছে ২৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

নির্বাচনী বিধি মেনে জমা দেওয়া নথি অনুযায়ী, এই নির্বাচনে দুই প্রার্থী ১০০ কোটি ডলার ব্যয় করবেন, যা নতুন রেকর্ড। বিজ্ঞাপনী কাজে এবং তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে এসব অর্থ ব্যয় করবেন কমলা ও ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫ নভেম্বরের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের আগে এই পরিমাণ তহবিল সংগ্রহ নির্বাচনী আবহ পুরোপুরি জমে ওঠারই ইঙ্গিত। তবে ঘোষিত এই তহবিলের মধ্যে দুই প্রার্থীর সমর্থক অন্য গোষ্ঠীগুলোর সংগ্রহ করা অর্থ যোগ করা হয়নি।

এদিকে আগামী মঙ্গলবার বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো সরাসরি বিতর্কে অংশ নেবেন। এবিসির আয়োজনে এই বিতর্ককে দুই প্রার্থীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে খারাপ করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে দাঁড়াতে হয় বাইডেনকে। ২১ জুলাই প্রার্থী হিসেবে কমলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দেন তিনি।

কমলার প্রার্থিতা ডেমোক্র্যাট ও দাতাদের মধে৵ নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্য ফেরায়। জনমত জরিপেও তাঁর উত্থান দেখা যায়। ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর প্রচার দলের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে কমলার ১৩ লাখ নতুন দাতার তিন-চতুর্থাংশই ২০২০ সালের নির্বাচনে কোনো আর্থিক অনুদান দেননি। দাতাদের প্রতি ১০ জনের মধে৵ ৬ জনই নারী। এমনকি প্রতি পাঁচজনের মধে৵ একজন দাতা নিবন্ধিত রিপাবলিকান বা স্বতন্ত্র ব্যক্তি।

এর পরও জনমত জরিপের গড় ফল অনুযায়ী দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে হাড্ডাহাড্ডির লড়াই হবে। পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও জর্জিয়ার মতো দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটেই ফলাফল নির্ধারিত হবে।