টেক্সাসের হামলাকারী সম্পর্কে যা জানা গেল
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের শপিং মলে হামলাকারী সেই বন্দুকধারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। তাঁর নাম মোরিসিও গার্সিয়া। বয়স ৩৩ বছর।
টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অ্যালেন শহরের একটি শপিং মলের বাইরে গত শনিবার এক বন্দুকধারীর হামলায় আটজন নিহত হন। পরে পুলিশের গুলিতে ওই বন্দুকধারীও নিহত হন। ডালাসের ২৫ মাইল উত্তরে ‘অ্যালেন প্রিমিয়াম আউটলেটস’ নামের শপিং মলে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গার্সিয়া ওই শপিং মলের পার্কিংয়ে রাখা তাঁর গাড়ি থেকে বের হচ্ছেন এবং কোনো ধরনের সতর্কসংকেত দেওয়া ছাড়াই আশপাশের মানুষদের ওপর গুলি চালাতে শুরু করেন।
তদন্তকারীদের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হামলাকারী মোরিসিও গার্সিয়ার সঙ্গে উগ্র ডানপন্থীদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। তাঁর পরনে থাকা কাপড়ের ব্যাজ দেখে এমন সন্দেহ করা হচ্ছে।
দুটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বিবিসির মার্কিন সহযোগী সংবাদ প্রতিষ্ঠান সিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গার্সিয়ার পোশাকে থাকা ব্যাজটিতে লেখা ছিল ‘আরডব্লিউডিএস’। এর সম্প্রসারিত রূপ হলো রাইট উইং ডেথ স্কোয়াড, যা একটি নব্যনাৎসি সংগঠন।
গার্সিয়া যেখানে থাকতেন, তার আশপাশের একটি হোটেল ও একটি বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এক তদন্তকারী বলেন, গার্সিয়ার কাছে একটি পিস্তলও ছিল। তাঁর গাড়িতে আরও অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ পাওয়া গেছে। গার্সিয়ার সঙ্গে চরমপন্থী কিংবা এ ধরনের মানুষদের যোগাযোগ ছিল কি না, তা জানতে তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলো তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন।
গার্সিয়া নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গুরুতর কোনো অপরাধে লিপ্ত থাকার কোনো ইতিহাস তাঁর নেই।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র সিবিএসকে বলেছে, হামলার ক্ষেত্রে বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছেন গার্সিয়া। তাঁর কাছ থেকে কয়েকটি গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর পরনে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, শনিবারের ওই হামলার জন্য বন্দুকধারী এআর-১৫ ধাঁচের রাইফেল ব্যবহার করেছেন। গতকাল রোববার আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপকে সমর্থন জানাতে বিরোধী দল রিপাবলিকানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তবে বাইডেনের এ দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে টেক্সাসের রিপাবলিকান গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট একমত নন। গতকাল ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অ্যাবট বলেন, তিনি চান অপরাধীরা যেন অস্ত্রের মালিকানা না পায়, তা নিশ্চিত করতে এবং মানুষের মানসিক সমস্যাগুলো দূর করার জন্য ব্যবস্থা নিতে। বড় আকারে নিষেধাজ্ঞা জারির চেয়ে এ দুই বিষয়কে প্রাধান্য দিতে চান বলে উল্লেখ করেন অ্যাবট।