ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রশাসনে পম্পেও-হ্যালিকে রাখছেন না
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রশাসনে নিকি হ্যালি ও মাইক পম্পেওকে রাখছেন না।
গতকাল শনিবার ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ট্রুথ সোশ্যাল) দেওয়া পোস্টে এ কথা বলেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের প্রশাসনে হ্যালি ও পম্পেও ছিলেন।
পম্পেও ছিলেন ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর হ্যালি ছিলেন জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত।
ট্রাম্প লিখেছেন, তিনি তাঁর প্রশাসনে যোগ দেওয়ার জন্য সাবেক রাষ্ট্রদূত হ্যালি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেওকে আমন্ত্রণ জানাবেন না। বর্তমানে তাঁর প্রশাসন গঠনের কাজ চলছে।
দ্বিতীয় মেয়াদের প্রশাসনে ট্রাম্প কাকে কাকে রাখতে যাচ্ছেন, তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। অনেকের নাম সামনে আসছে। এর মধ্যে হ্যালি ও পম্পেওর নামও এসেছে। তবে গতকাল ট্রাম্প সরাসরি জানিয়ে দিলেন, এই দুজন তাঁর প্রশাসনে স্থান পাচ্ছেন না।
পম্পেও গত জুলাই মাসে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে একটি পরিকল্পনার রূপরেখা দিয়েছিলেন। রূপরেখায় ইউক্রেনকে আরও মার্কিন অস্ত্র দেওয়ার কথা ছিল। এ ছাড়া রাশিয়ার জ্বালানি খাতের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপের কথা বলেছিলেন পম্পেও।
গতকাল বিশ্লেষকেরা বলেন, নির্বাচনী প্রচারকালে রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্প যেসব কথা বলেছিলেন, তার সঙ্গে পম্পেওর এই পরিকল্পনা যায় না।
ট্রাম্প বারবার গর্ব করে বলে এসেছেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনের যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে পারবেন। এ ছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিয়েভকে মার্কিন সহায়তারও সমালোচনা করেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে (প্রাইমারি) ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন হ্যালি। সুবিধা করতে না পেরে তিনি সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন। পরে তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন দেন।
হ্যালি ও পম্পেও সম্পর্কে ট্রাম্প গতকাল তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, অতীতে তাঁদের সঙ্গে কাজ তিনি খুব উপভোগ করেছেন, তার প্রশংসা করেছেন। দেশসেবার জন্য তাঁদের তিনি ধন্যবাদ জানাতে চান।
ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত তাঁর প্রশাসনের একটি পদে নিয়োগের জন্য একজনের ঘোষণা দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচার দলের ব্যবস্থাপক সুজি ওয়াইলসের নাম ঘোষণা করেছেন। তিনি হোয়াইট হাউসের প্রথম চিফ অব স্টাফ হতে যাচ্ছেন।