সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়মুক্তি পাবেন না ট্রাম্প: আদালত
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে করা অপরাধের জন্য আনীত অভিযোগের বিচার থেকে দায়মুক্তি পাবেন না যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাঁর বিচার করা যাবে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল আদালত এ অভিমত দিয়েছেন।
ফেডারেল নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগে তাঁর বিচার হওয়া উচিত নয়— ট্রাম্পের এমন যুক্তি স্পষ্টভাবে খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আদালতের আদেশের সমালোচনা করে একে ‘জাতি–বিধ্বংসী’ বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
ওয়াশিংটন ডিসির তিন সার্কিট জজের প্যানেলের ৫৭ পৃষ্ঠার সর্বসম্মত অভিমতে বলা হয়েছে, একজন সাবেক প্রেসিডেন্টকে দায়িত্বে থাকাকালে তাঁর নেওয়া পদক্ষেপের জন্য বিচারের মুখোমুখি করার সুযোগ বিচারব্যবস্থায় রয়েছে।
অভিমতে বিচারকেরা আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের দপ্তর এর সাবেক দায়িত্ব পালনকারীকে পরবর্তী পুরোটা সময়ের জন্য আইনের ঊর্ধ্বে রাখবে, আমরা তা মেনে নিতে পারি না।’
আদেশে আরও বলা হয়, ‘২০২০ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরও সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতায় থাকার প্রচেষ্টা ছিল বলে আভিযোগ রয়েছে। যদি প্রমাণিত হয়, এটা আমাদের সরকারের কাঠামোর ওপর এক নজিরবিহীন আক্রমণ। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিজেকে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট গণনা ও প্রত্যয়নের এমন একটি প্রক্রিয়ায় যুক্ত করেছিলেন, যেখানে প্রেসিডেন্টের কোনো ভূমিকা নেই। বিষয়টি সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি এবং কংগ্রেসের ইচ্ছাকে ক্ষুণ্ন করে।’
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে ট্রাম্পের মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত। আদালতের এই আদেশকে তাঁর জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। অবশ্য ট্রাম্পের প্রচার মুখপাত্র স্টিভেন চেউং বলেছেন, এ আদেশের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন।
সুপ্রিম কোর্টে আপিলের জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় পাবেন ট্রাম্প। এরপর এ আদেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন কি না, সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে মঙ্গলবারের আদেশের কড়া সমালোচনা করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্টকে সঠিকভাবে কাজ করতে এবং আমাদের দেশের ভালোর জন্য যা করতে হবে, তা করার অবশ্যই পূর্ণ দায়মুক্তি থাকতে হবে। এ রকম জাতি-বিধ্বংসী আদেশ বহাল রাখতে দেওয়া যাবে না।’