ভালোবাসা দিবসে নতুন চন্দ্রাভিযান শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র
চাঁদে নতুন করে নভোযান পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসকে (ভ্যালেন্টাইনস ডে) বেছে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এ কথা জানিয়েছে। আগের চন্দ্রাভিযানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে নতুন করে এ নভোযান পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ অভিযানে হিউস্টনভিত্তিক কোম্পানি ইনশুইটিভ মেশিনসের তৈরি একটি ল্যান্ডার ব্যবহার করা হবে। একটি স্পেসএক্স রকেটের ওপরের দিকে ল্যান্ডারটি যুক্ত থাকবে।
এ চন্দ্রাভিযান ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা চলছে। কারণ, এ অভিযান সফল হলে এটি হবে পাঁচ দশক পর মার্কিন নভোযানের চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের প্রথম ঘটনা। তা ছাড়া এটি হবে বেসরকারিভাবে পরিচালিত প্রথম সফল চন্দ্রাভিযানও।
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে দিবাগত রাত ১২টা ৫৭ মিনিটের দিকে নভোযানটি চাঁদের অভিমুখে যাত্রা শুরু করবে। ২২ ফেব্রুয়ারি এটির চাঁদের দক্ষিণ অংশের কাছে অবতরণের কথা।
এ অভিযানে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রাংশগুলো সরবরাহের জন্য ইনশুইটিভ মেশিনসকে ১০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ পরিশোধ করেছে নাসা।
চাঁদের পরিবেশ সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা পেতে নোভা-সি নামের ল্যান্ডারটির পেলোডে বিশেষ কিছু যন্ত্রপাতি লাগানো আছে।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের পাঁচটি দেশের নভোযান সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করতে পেরেছে। এর মধ্যে প্রথম চাঁদে নভোযান পাঠিয়েছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। এরপরের অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র। চাঁদে নভোচারী পাঠানো একমাত্র দেশও যুক্তরাষ্ট্র। আর গত এক দশকে চীন তিনবার চাঁদে নভোযান পাঠিয়েছে।
ভারতও সফলভাবে চাঁদে নভোযান পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। খুব সম্প্রতি জাপান চন্দ্রাভিযান চালিয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি জাপানের নভোযানটি সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করে। তবে এর সৌর প্যানেলগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় এটি আর কাজ করেনি।