প্রথম সমাবেশেই ট্রাম্পকে নিয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য কমলা হ্যারিসের

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে গতকাল মঙ্গলবার সমাবেশ করেন কমলা হ্যারিসছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচার শুরুর অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো সমাবেশ করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। সমাবেশে প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে এ সমাবেশ করেন কমলা হ্যারিস। সেখানে সমবেত প্রায় তিন হাজার মানুষের উদ্দেশে বক্তব্য দেন তিনি। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পেতে নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধিদের বড় অংশের সমর্থন নিশ্চিত হওয়ার এক দিন পর এ সমাবেশ করেন কমলা হ্যারিস। এতে তাঁর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার পথ সুগম হলো।

মিলওয়াকির উপকণ্ঠে একটি উচ্চবিদ্যালয়ে আয়োজিত সমাবেশের মঞ্চে ওঠার পর উপস্থিত লোকজন করতালি দিয়ে কমলা হ্যারিসকে স্বাগত জানান। এ সময় কমলা হ্যারিস ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন। তিনি ট্রাম্পকে তাঁদেরই দলে ফেলেন।

কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমি সব ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। যাঁরা নারীদের নির্যাতন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও। যে প্রতারকেরা ভোক্তাদের ঠকিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছি। যে ধোঁকাবাজেরা নিজেদের লাভের জন্য নিয়ম ভেঙেছেন, ব্যবস্থা নিয়েছি তাঁদের বিরুদ্ধে।’

কমলা হ্যারিস আরও বলেন, ‘তাই আমি যখন বলি যে আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিনি, তখন আমার কথা খেয়াল করে শুনুন। এ প্রচারে আমি আপনাদের কাছে অঙ্গীকার করছি, সপ্তাহের যেকোনো দিন আমি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমার কাছে থাকা তাঁর তথ্যগুলো প্রকাশ করব।’

সমাবেশে উপস্থিত লোকজন তখন ‘কমলা! কমলা!’ বলে চিৎকার করে ওঠেন।ইতিমধ্যে ট্রাম্পও সীমান্তে কমলা হ্যারিসের কার্যক্রমের প্রসঙ্গ টেনে আক্রমণ করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘“মিথ্যাবাদী” কমলা হ্যারিস যা কিছু স্পর্শ করেন, সবই ধ্বংস হয়ে যায়।’

এর আগে গত রোববার দুপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে প্রার্থী হিসেবে অনুমোদন দেন। শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট নেতা ও তহবিলদাতাদের ক্রমাগত চাপের মুখে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেন। গত মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্কে ধরাশায়ী হওয়ার পর থেকে তাঁর ওপর প্রার্থিতা প্রত্যাহারে চাপ বাড়তে থাকে।

এদিকে নির্বাচনী দৌড় থেকে বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর ৩৬ ঘণ্টার মাথায় কমলা হ্যারিসের প্রচারশিবির ১০ কোটি ডলারের বেশি তহবিল সংগ্রহ করেছে।

রয়টার্স ও ইপসোসের করা নতুন একটি জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের চেয়ে ২ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন কমলা হ্যারিস। জরিপে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিয়েছে ৪৪ শতাংশ মানুষ। আর ট্রাম্পকে ৪২ শতাংশ।