ট্রাম্প-জেলেনস্কি ফোনালাপ, যোগ দিয়েছিলেন ইলন মাস্কও

ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইলন মাস্ক ও ভলোদিমির জেলেনস্কি
ফাইল ছবি: রয়টার্স ও এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর তাঁকে অভিনন্দন জানাতে ফোন দিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ওই ফোনকলে যুক্ত হয়েছিলেন স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও ধনকুবের ইলন মাস্কও। প্রায় সাত মিনিট তিনজনের কথা হয়। এই ফোনালাপের বিষয়ে ওয়াকিবহাল একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

আরেক সূত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনে জয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মার-এ-লাগোতে ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন মাস্ক। তখন ট্রাম্পকে ফোন করেন জেলেনস্কি। দুজনের মধ্যে ইতিবাচক ও আন্তরিকতাপূর্ণ আলাপ হয়। এ সময় ট্রাম্প ফোনের স্পিকার চালু করে দেন। তখন মাস্কের সঙ্গেও কথা হয় জেলেনস্কির।

ওই সূত্র জানিয়েছে, ফোনকলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে মাস্কের স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যোগাযোগে সহায়তার জন্য তাঁকে (মাস্ক) ধন্যবাদ জানান জেলেনস্কি। প্রায় সাত মিনিট তিনজনের কথা হয়। তবে এ সময় তাঁদের মধ্যে নীতিনির্ধারণ বিষয়ক কোনো আলাপচারিতা হয়নি।

এর আগে গত বুধবার এক এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে জেলেনস্কি বলেছিলেন, ট্রাম্পের ‘ঐতিহাসিক নিরঙ্কুশ জয়ের’ পর তাঁকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, দুই দেশের সহযোগিতার সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে একমত হয়েছেন তাঁরা। বিশ্বে শান্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ।

ট্রাম্প এমন এক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন, যখন রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে এক অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে ইউক্রেন। দেশটির পূর্বাঞ্চল দনবাসে অবস্থান শক্ত করার সুযোগ পাচ্ছে রুশ বাহিনী। এই অঞ্চলটি পুরোপুরি দখল করে নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ইউক্রেনে প্রায় আড়াই বছর ধরে চলমান যুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেকে বড় সহায়তা পেয়েছে দেশটি। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প যেসব কথা বলেছেন, তাতে তিনি প্রেসিডেন্ট হলে এই সহায়তা কতটা চলমান থাকবে, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনকে একটি কঠিন চুক্তিতে যাওয়ার বিষয়ে চাপ দেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।

এদিকে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে তাঁর বড় সমর্থক ছিলেন ইলন মাস্ক। এই প্রচারে তিনি ১১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের বেশি খরচ করেছেন। দুজনের ঘনিষ্ঠতাও গভীর। এরই মধ্যে ট্রাম্প-জেলেনস্কি ফোনকলে মাস্কের যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে আগামী প্রশাসনে তাঁর প্রভাব কতটা জোরদার হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।