২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

জর্জিয়ায় নিজের স্কুলেই গুলি চালায় কিশোরটি, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

বুধবার জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আপালেচি হাইস্কুলে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় বন্দুকধারী, ৪ সেপ্টেম্বরছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি স্কুলে গুলি করে চারজনকে হত্যার ঘটনায় আটক শিক্ষার্থীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়েছেন।

ওই কিশোরের নাম কোল্ট গ্রে। তার বয়স ১৪ বছর। সে ওই একই স্কুলের শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে এবং বিচারের মুখোমুখি করা হবে। জর্জিয়া তদন্ত ব্যুরোর প্রধান ক্রিস হোসি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন।  

আপালেচি হাইস্কুলের তদন্তকারী কর্মকর্তা বলছেন, স্কুলে হামলার হুমকি দেওয়ায় গত বছরও এই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (এফবিআই)।

তবে এফবিআই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৩ সালে স্কুলে হামলা করার হুমকি দিয়ে অনলাইনে পোস্ট দেওয়ার পর ১৩ বছরের এক কিশোর এবং তার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এফবিআইয়ের বিবৃতিতে ওই কিশোরের নাম উল্লেখ করা হয়নি। জর্জিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, স্কুলে গুলি চালানোর ঘটনায় যে কিশোরকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, সেই ঘটনার সঙ্গে এর যোগসূত্র রয়েছে।

এফবিআই বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে তখন ওই কিশোরের বাবা বলেছিলেন, তাঁর বাড়িতে শিকারের বন্দুক ছিল। কিন্তু বিনা তত্ত্বাবধানে অস্ত্র পাওয়ার সুযোগ তাঁর ছেলের ছিল না। ওই কিশোরও অনলাইনে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছিল। জ্যাকসন কাউন্টি কর্তৃপক্ষ তখন স্থানীয় স্কুলগুলোকে এ ব্যাপারে নজর রাখার জন্য সতর্ক করেছিল। তবে ওই সময় ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করার মতো কোনো কারণ খুঁজে পায়নি এফবিআই।

গতকাল বুধবার জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আপালেচি হাইস্কুলে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় বন্দুকধারী। এতে দুই শিক্ষার্থী এবং দুই শিক্ষক নিহত হন। আহত হন আরও অন্তত নয়জন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে ওই স্কুলেরই এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।

ব্যারো কাউন্টি শেরিফ জুড স্মিথ বলেন, ১০টা ২০ মিনিটের দিকে শেরিফ বিভাগের কাছে বন্দুকধারী সম্পর্কে খবর আসে। এরপর উপ–শেরিফরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে শুরু করেন। স্কুলে একজন উপ–শেরিফ ওই বন্দুকধারীকে মোকাবিলা করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই বন্দুকধারী আত্মসমর্পণ করে। 

সন্দেহভাজন ওই কিশোরকে তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তবে কী উদ্দেশ্য নিয়ে সে এমন কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু জানতে পেরেছেন কি না, তা বলতে অপারগতা জানিয়েছেন তাঁরা। হামলায় কী ধরনের বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে, তা–ও তাঁরা বলেননি।

এদিকে স্কুলে গুলিতে নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। তাৎক্ষণিকভাবে এক বিবৃতিতে বাইডেন দম্পতি বলেন, ‘একের পর এক এমন ঘটনাকে আমরা স্বাভাবিক হিসেবে নিতে পারি না।’

ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমাদের দেশে বন্দুক সহিংসতার এই মহামারিকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে।’